Home Second Lead হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আসা বন্ধ

হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আসা বন্ধ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

দিনাজপুর: বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আনা বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে সাড়ে তিন মাস পর গত ২ জানুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।

হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার থেকে বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। এর আগে অবশ্য গত ৯ জানুয়ারি ৯৭ টন, ১০ জানুয়ারি ২৪, ১১ জানুয়ারি ২৮ ও ১২ জানুয়ারি ২৫ টন পেঁয়াজ আনা হয়। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ও বাজারে দেশী পেঁয়াজের দাম একই হওয়াতে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। এর ওপর পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে দরে পোষাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দরের শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম বলেন, নিষেধাজ্ঞা ওঠার প্রথম কয়েক দিন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। কিন্তু ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ আসেনি। খুব শিগগির আসবে বলে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

বন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা জানান, পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার পর ভারতীয় পেঁয়াজ আনতে অনেকেই এলসি করেন। কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজার দরে টনপ্রতি ২৫০-২৭৫ মার্কিন ডলার বাড়তি দিতে হচ্ছে। সঙ্গে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় কেজিপ্রতি আরও ২ টাকা ৬০ পয়সা যোগ হচ্ছে। সবমিলে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ এদেশে ঢুকতে ৩৫-৩৭ টাকার পড়তা পড়ে। অথচ প্রচুর সরবরাহ থাকায় দেশি পেঁয়াজ এখন পাইকারি ২৭ এবং খুচরা ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দামের পড়তা না থাকায় মানুষ ভারতীয় পেঁয়াজ একেবারেই কিনছেন না। লোকসান এড়াতে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান ।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আবদুর রহিম ও তোফাজ্জল হোসেন জানান, বাজারে দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একই হওয়ায় তারা দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। একই বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মুকুল হোসেন বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজের স্বাদ ও মান অনেক ভালো। বর্তমানে বাজারে প্রচুর দেশি পেঁয়াজ রয়েছে। দেশিটা কম দামে পাওয়ায় ক্রেতারা ভারতীয় পেঁয়াজের দিকে ফিরেও তাকান না।’