Home নির্বাচন রামগঞ্জে কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ

রামগঞ্জে কেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৩ জন গুলিবিদ্ধ ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

নির্বাচন চলাকালীন এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কেন্দ্র দখল নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে, কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের ইট পাটকেলের আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

পরে পুলিশের ডিআইজির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র‌্যাব ও পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় আধা ঘণ্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

স্থানীয়রা জানায়, পৌর ৬নং ওয়ার্ডের উটপাখি প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন তার দলবল নিয়ে পশ্চিম কাজিরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করতে এসে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাঞ্জাবি প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ আকন্দের সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে আনোয়ারের অনুসারীরা এলোপাতাড়ি গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর শুরু করে। এতে আলমগীর, কামাল হোসেন ও জামসেদসহ ৩ জন তাদের ছোঁড়া ছররাগুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত হয় আরও ১৫ জন।

পরে খবর পেয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র‌্যাব ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে কেন্দ্রের কোনো কিছু খোয়া যায়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে লক্ষীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রিয়াজুল কবির বলেন, দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ইট পাটকেলে আঘাতে ৫ পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন বলে জানান তিনি। তবে পুলিশ কত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছেন তা হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান রিয়াজুল কবির।