Home চেম্বার জিএসপি প্লাস সুবিধা গ্রহণে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবেঃ জার্মান রাষ্ট্রদূত | রোহিঙ্গাদের...

জিএসপি প্লাস সুবিধা গ্রহণে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবেঃ জার্মান রাষ্ট্রদূত | রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করুনঃ চিটাগাং চেম্বার সভাপতি

বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ (ঐ.ঊ. গৎ. চবঃবৎ ঋধযৎবহযড়ষঃু) ১১ নভেম্বর দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এস. এম. আবু তৈয়ব ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী উপস্থিত ছিলেন।

জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ বলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। প্রায় ৮% এর উপরে অর্জিত জিডিপিকে দুই অংকে উন্নীত করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে জিএসপি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেও জিএসপি প্লাস সুবিধা গ্রহণ করে বিনা শুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে যদি বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রদত্ত শিশু শ্রম, সুশাসন ও শ্রম অধিকারসহ অন্যান্য শর্তাবলী পূরণ করতে পারে। আগামী ১২-১৮ মাসের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে এখনই কাজ শুরু করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইউরোপের মানুষ বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করছে না জানিয়ে এদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এবং বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আদায় করতে শক্ত লবি নিয়োগ করার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ১০০ মিলিয়ন ইউরো সহযোগিতার প্রসংগ টেনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাঁদের সমর্থন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে জার্মানীসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতা কামনা করেন। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে জার্মানীর অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্ব উল্লেখ করে বাস্তবায়নাধীন মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মান বিনিয়োগ এবং বঙ্গোপসাগরে বিশাল সমুদ্র সীমানায় অর্থনৈতিক সুবিধালাভে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩শত বছর আগে জার্মানীতে জাহাজ রপ্তানির প্রসংগ উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রাপ্তিতে আট দেশের অন্যতম হিসেবে অন্তর্ভূক্তির অনুরোধ করে চেম্বার সভাপতি রাষ্ট্রদূতের আন্তরিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
জার্মানীর অনারারী কনসাল মির্জা শাকির ইস্পাহানী ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে চিটাগাং চেম্বার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন। মতবিনিময় শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের এক্সিবিশন হল পরিদর্শন করেন।