গাজার হাসপাতালে ইসরাইলের বোমা হামলায় ৫০০ জনের মৃত্যুর পর রাগে ফুঁসে উঠল পশ্চিম এশিয়া। বুধবার ইজরায়েলে পৌঁছচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইাসরাইল সফর সেরে তাঁর জর্ডনের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল। জর্ডনের বাদশা আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এই জঘন্য হামলার পর আর বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন আরব নেতারা।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
গাজার হাসপাতালে ইসরাইলের বোমা হামলায় ৫০০ জনের মৃত্যুর পর রাগে ফুঁসে উঠল পশ্চিম এশিয়া। বুধবার ইজরায়েলে পৌঁছচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইাসরাইল সফর সেরে তাঁর জর্ডনের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল। জর্ডনের বাদশা আবদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এই জঘন্য হামলার পর আর বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন আরব নেতারা।
গাজার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে আল–আহলি আরব হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে কমপক্ষে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। গাজায় এহেন হামলা নিয়ে বারবার জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল ইসরাইলকে। চরমপত্র দিয়েছিল ইরানও। কিন্তু তারপরেও এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটে যাওয়ায় তার প্রতিক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
চলতি ইসরাইল -হামাস যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বুধবার তেল আভিভ সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরাইল বরাবরই আমেরিকার বন্ধু দেশ। ইতিমধ্যে ইসরাইল ঘুরে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ঠিক ছিল সফর শেষ করে জর্ডনের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ ও ফিরিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক হবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
কিন্তু জর্ডন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাইডেনের সঙ্গে আরব নেতাদের আর হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে জর্ডনের বাদশাহর। আম্মানের প্রতিবাদের কথা তখনই জানিয়েছেন বাদশাহ আবদুল্লাহ।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সঙ্গে বৈঠক বাতিলের পর জর্ডনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেছেন, “যুদ্ধ বন্ধ না হলে আর কোনও আলোচনা নয়”।
আম্মানের এই ঘোষণার আগেই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের কথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও। সেই সঙ্গে তিনি আম্মান থেকে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের রামাল্লার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।
হামলায় আহত কয়েক’শ রোগী এবং গৃহহীন মানুষ আল–আহলি হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছিলেন। সেখানেই বোমা হামলা হয়েছে। ও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন। নিন্দা করেছেন বাইডেনও।