চলতি মৌসুমে ৩২ কার্যদিবস আখ মাড়াই হবে। রাজশাহী সুগার মিল জোনে মোট সাড়ে ৩ হাজার একর জমিতে আখ উৎপাদন হয়েছে।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
রাজশাহী:রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেড-এ চলতি মওসুমে ২৭০০ মেট্রিক টন চিনি তৈরি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ৪৫ হাজার মেট্টিক টন আখ মাড়াই করে এই চিনি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।
শুক্রবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আড়াই মাড়াই কার্যক্রম। মিলের কেইনে কেরিয়ার ডোঙ্গায় আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) পরিচালক (অর্থ) খোন্দকার আজিম আহমেদ। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চিনি কলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল বাশার। রাজশাহী সুগার মিলের মহাব্যবস্থাপক মো. শাহিনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জেবর আলী, রাজশাহী চিনিকল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি আফাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা, আখচাষি সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ইয়াছিন আলী, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, আখচাষি সাজেদুর রহমান প্রমুখ।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবুল বাশার জানান, চিনিকলে আখ মাড়াই শুরু হলো। আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। গত এক বছরে সরকার প্রতি মণ আখ ৪০ টাকা বাড়িয়েছেন। গত মৌসুমে প্রতিমণ আখের দাম ছিল ১৮০ টাকা। সরকার ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমে ২২০ টাকা নির্ধারণ করেন। চাষিরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন। ফলে চাষিরা আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। আগামীতে রাজশাহী সুগার মিল এলাকায় আখ চাষ বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৩২ কার্যদিবস আখ মাড়াই হবে। রাজশাহী সুগার মিল জোনে মোট সাড়ে ৩ হাজার একর জমিতে আখ উৎপাদন হয়েছে। আগামী মওসুমে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার একর।
দেশের ১৫টি চিনিকলের মধ্যে তিনটি ত্রিশের দশক, তিনটি পঞ্চাশের দশক, সাতটি ষাটের দশক ও দুটি বাংলাদেশ স্বাধীনের পরে স্থাপিত হয়েছে। অধিকাংশ চিনিকলের যন্ত্রাংশ অতি পুরোনো ও জরাজীর্ণ। এসব চিনিকলে উৎপাদন খরচ বিক্রিমূল্যের কয়েকগুণ বেশি।
দেশে বছরে ২০ লাখ টনের বেশি চিনির চাহিদা রয়েছে। পূরণ হচ্ছে আমদানির মাধ্যমে। এতে বিদেশে যাচ্ছে বছরে সাত হাজার কোটি টাকার বেশি।