আগামী ২০২১ সালের সাধারণ নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি উপনির্বাচনে বিজেপি’র চ্যালেঞ্জকে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সবক’টি আসনেই জয়ী হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বিধানসভা আসন খড়গপুর সদর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ সোমবার উপনির্বাচন হয়েছে। প্রতিটি আসনেই তৃণমূল–বিজেপি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিজেপির জয়ী খড়গপুর আসনটিতেও তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুর আসনেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত হয়েছে। করিমপুর আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসেরই দখলে ছিল। উপনির্বাচনে অভাবনীয় এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির ‘ঔদ্ধত্য ও অহংকার’-কে মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। বিকেলে নবান্নে সংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, বাংলাকে আর ভাঙতে দেব না। এনআরসি নিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। যার জবাব বাংলার মানুষ বিজেপিকে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিজেপি চোখ রাঙানি বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। তবে যতদিন আমি আছি বাংলায় এনআরসি করতে দেব না বলে মন্তব্য রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।
লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অপ্রত্যাশিত ফলের পর থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন স্তরে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারিদের আটকানোর নামে বিজেপির একচেটিয়া এনআরসি প্রচার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের জন্ম দিয়েছে বলেই মনে করেন তৃণমূল প্রধান।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আর ১৮ মাস বাকি। উপনির্বাচনের ফল তৃণমূলকে আরও অনেকটা এগিয়ে রাখবে তাও স্পষ্ট হয়ে গেল। ছয়মাস আগেই লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলকে হারিয়েছে বিজেপি। কয়েকমাসের ফারাকেই মানুষের এই রায় অবাক করা নয়।