Home বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ পোশাক শিল্পের পণ্য চালান খালাসে বিদ্যমান জটিলতা দ্রুত নিরসন হবে

পোশাক শিল্পের পণ্য চালান খালাসে বিদ্যমান জটিলতা দ্রুত নিরসন হবে

কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম এর সাথে বিজিএমই-র বৈধক

তৈরী পোশাক শিল্পের আমদানীকৃত পণ্য চালান খালাসে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন কল্পে আজ ২৪ নভেম্বর, ২০১৯ইং রোজ- রবিবার কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের সম্মেলন কক্ষে বিজিএমইএ’র মনোনীত টেকনিক্যাল কমিটি ও কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের মধ্যে এক দ্বিপক্ষীয় সভা কাস্টম কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি জনাব আবদুস সালাম বলেন- বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। আর্ন্তজাতিক বাজারে অব্যাহতভাবে পণ্যের দর পতন, বিদেশী ক্রেতার পরিদর্শন সংস্থা অপপড়ৎফ ও অষষরধহপব-এর সংস্কার কর্মসূচী প্রতিপালন, সর্বশেষ শ্রমিকদের মজুরী ৫১% বৃদ্ধি সহ নানাবিধ অবকাঠামোগত সমস্যায় ব্যবসা পরিচালনা ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৩০%। এমনিতেই লীডটাইম বা উৎপাদন সময়ের জন্য আমরা প্রতিযোগী অন্যান্য দেশ থেকে পিছিয়ে আছি, ফলে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রপ্তানীতে ব্যর্থ হয়ে ষ্টকলট সহ অর্ডার বাতিল হয়ে রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়ে প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে আর্ন্তজাতিক প্রতিযোগিতায় ক্রমেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সক্ষমতা হারাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৪০% রপ্তানীকারক উৎপাদন ব্যয়ের নিচে রপ্তানী আদেশ নিচ্ছে; প্রায় ৮৭% বিদেশী ক্রেতা পণ্য মূল্য বাড়ায়নি। উৎপাদন ব্যয়ের কমে প্রায় ৫০% কারখানা পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এ’প্রেক্ষিতে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় বর্তমান অর্থ বছরের প্রথম ০৪ মাসে রপ্তানীতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৬৭%। তিনি আমদানীকৃত পণ্য চালান খালাসে বিরাজমান সমস্যাদি যথাক্রমে ঃ-
কাস্টমস্ অওজ কর্তৃক পণ্য চালানের আটক ও ঐঝ ঈড়ফব সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন, কাপড়ের রাসায়নিক পরীক্ষণ বন্ধ করা, ফেব্রিক্স-এর কার্টিং তদারকির সিদ্ধান্ত প্রদান করার পরিবর্তে ফেব্রিক্স-এর নমূনা বন্ড কমিশনারেট-এ প্রেরণ, পণ্য চালানে খালাসে ঋরৎংঃ অঢ়ঢ়ৎধরংবসবহঃ প্রদান বন্ধ করা, জেটিতে পণ্য পরীক্ষণে জটিলতা পরিহার, পাকিস্তান থেকে আমদানীকৃত কাপড় ছাড়করণের জটিলতা নিরসন, কম্পোজিট প্রতিষ্ঠানের আমদানীকৃত কেমিক্যাল এর চালান খালাসে জটিলতা পরিহার সহ অওজ কর্তৃক ইওঘ খড়পশ / ঐঝ ঈড়ফব সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হলে সর্বোচ্চ কত দিনের মধ্যে আমদানীকৃত পণ্য চালান খালাস দেওয়া হবে সে’বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়-সীমা (ঞরসব ঋৎধসব) নির্ধারণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বর্তমান এই সংকটময় পরিস্থিতি উত্তরণে কাষ্টম হাউস, চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সহজীকরণের মাধ্যমে আমদানীকৃত পণ্য চালান দ্রত খালাসের অনুমোদন প্রদান করে রপ্তানী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।

কাস্টম হাউস, চট্টগ্রামের কমিশনার জনাব মোহাম্মদ ফখরুল আলম বলেন- জাতীয় রপ্তানী ও কর্মসংস্থানে পোশাক শিল্পের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি পোশাক শিল্প আমদানীকৃত পণ্য চালান খালাসে যথাযথ দলিলাদি উপস্থাপন সহ প্রযোজ্য ঐঝ ঈড়ফব উল্লেখের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বন্ডের মাধ্যমে শুল্ক মুক্ত ভাবে আমদানীকৃত কাপড়ের অপব্যবহার রোধকল্পে বিজিএমইএ’র সহযোগিতা কামনা করেন। ঐঝ ঈড়ফব সংক্রান্ত জটিলতায় বিজিএমইএ’র সুপারিশ সহ অঙ্গীকার নামা প্রদান সাপেক্ষে পণ্য চালান খালাস প্রদান, পাকিস্তান থেকে আমদানীকৃত কাপড় ছাড়করণে খালাস কালে পরীক্ষণ ও অওজ কর্তৃক আটককৃত চালান ০৩ দিনের মধ্যে ছাড়করণ সহ পোশাক শিল্পের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পাদনে সর্বাত্মাক সহযোগিতা করা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি জনাব এ.এম. চৌধুরী সেলিম, পরিচালকবৃন্দ সর্বজনাব- এ.এম. মাহবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, খন্দকার বেলায়েত হোসেন, প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি জনাব নাসিরউদ্দিন চৌধুরী।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালকবৃন্দ সর্বজনাব- মোহাম্মদ মুসা, এনামুল আজিজ চৌধুরী ও প্রাক্তন পরিচালক জনাব লিয়াকত আলী চৌধুরী, কাস্টম বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কো-চেয়ারম্যান সর্বজনাব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এফসিএমএ, আবদুল আলীম আরিফ, শাহ নেওয়াজ সহ নেতৃবৃন্দ। কাস্টম হাউসের পক্ষে অতিঃ কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন, যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুন্ডু সহ কাস্টমস্্ এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।