বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে গেল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর ব্যস্ততম এলাকা। উড়ে গেল বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি। ছড়িয়ে পড়ল দাউদাউ আগুন। অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা। আহত বহু। ২০১৭ সালের পর ফের ভয়ঙ্করতম জঙ্গি হানার শিকার হল মোগাদিশু।
সোমালিয়ার বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। দু’জন তুরস্কের বাসিন্দাও রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশপাশের কয়েকটা গাড়ি ও বাসও উড়ে যায়। আহত বহু মানুষ। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুলিশ অফিসার রয়েছেন বলেও জানা গেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোগাদিশুর একটি চেকপয়েন্টের কাছে এই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখা ছিল। দিনের ব্যস্ততম সময়েই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনাস্থলে সে সময় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি দল। ছিল বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি। পর্যটকদের ভিড়ও ছিল। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কাজনক।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি সংগঠন। মনে করা হচ্ছে, আল কায়দা ঘনিষ্ঠ ইসলামিক সংগঠন আল শাবাবের হাত রয়েছে এই আত্মঘাতীর হামলার পিছনে।
সুদানে এক সময় আস্তানা ছিল আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের। এর পরেও আল কায়দার শীর্ষস্তরের অনেক নেতাই সুদানে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিল। সুদানের একাধিক অঞ্চলে এর পরে আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হানা শুরু করলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আল কায়দা। প্রভাব বাড়ে ইসলামিক জেহাদি জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব। এই গোষ্ঠীটির সঙ্গে আল কায়দার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আফগানিস্তান ও ইরাকে মার্কিন অভিযানের সময় অনেক জেহাদি মূল আরব ভূখণ্ড ছেড়ে আফ্রিকায় চলে আসে। গোয়েন্দারা মনে করেন, সুদানের পরে সোমালিয়া তাদের শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।
২০১৭ সালে মোগাদিশুতেই দুটি পৃথক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০০ জনেরও বেশি।