Home রাজনীতি যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস শনিবার

যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস শনিবার

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস আগামীকাল শনিবার। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ১১টায় এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করবেন যুবলীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি চয়ন ইসলাম।

পরে বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হবে।

সম্মেলন উপলক্ষে যুবলীগ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনে কাউন্সিলর, ডেলিগেট, অতিথিসহ প্রায় ৩০ হাজার ব্যক্তি উপস্থিত থাকবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে যুবলীগের সম্মেলনে (কংগ্রেস) অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন না সংগঠনটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। কংগ্রেসের কাউন্সিলর, ডেলিগেট বা অতিথি কোনও পর্যায়েই তিনি আমন্ত্রণ পাচ্ছেন না। এর বাইরে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপুসহ বিতর্কিতদেরও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। যুবলীগের সম্মেলন প্রস্তুতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নেতৃবৃন্দদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

যুবলীগের সম্মেলনে চেয়ারম্যানসহ বিতর্কিতরা থাকবেন না এটা আগে থেকেই চাউর ছিল। সর্বশেষ এসব ব্যক্তিকে কাউন্সিলর বা ডেলিগেট হিসেবে মনোনয়ন না দেওয়া কিংবা তাদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পত্র ইস্যু না করায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস সামনে রেখে গত ২০ অক্টোবর যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। ওই প্রতিনিধি দলে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও শেখ আতিয়ার রহমান দিপুকে না রাখার জন্য গণভবন থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে বিতর্কিত অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ওমর ফারুককে চেয়ারম্যানের পদ অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্যসচিব করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই পদবাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত ওমর ফারুক চৌধুরী সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে প্রভাবশালী এই যুবলীগ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করার পাশাপাশি তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়। ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসার পর পরই ওমর ফারুক চৌধুরী অনেকটাই লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। বর্তমানে অনেকটা গৃহবন্দির মতো ধানমন্ডির বাসায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

২০১২ সালের ১৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান পদে ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হারুনুর রশিদ নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন যা ১৯৭২ সালের ১১ই নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি।