দিল্লি:বিধানসভা নির্বাচনে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের ভয়াবহ রকমের বিপর্যয় হয়েছে। ৬৩ আসনে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অথচ এই কংগ্রেস ১৫ বছর ছিল দিল্লির মসনদে। তাদের জনসমর্থন আজ ৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
সারা ভারতে কোণঠাসা কংগ্রেসের হাল যে দিল্লিতে কতটা খারাপ তা স্পষ্ট হল এই ফলে। কোনও কেন্দ্রের মোট বৈধ ভোটের ছয় ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জমানত জব্দ হয়।
৬৩ প্রার্থীর জমানত জব্দই বলে দিয়েছে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৬ শতাংশেরও নীচে। ভোটের ফল বলছে, অধিকাংশ কংগ্রেস প্রার্থীই তাঁর কেন্দ্রে মোট যা ভোট পড়েছে, তার ৫ শতাংশেরও কম ভোট পেয়েছেন।
যে কংগ্রেস ১৫ বছর দিল্লি শাসন করেছে, তার জনসমর্থন ৫ শতাংশের নীচে নেমে আসবে, তা অনেকের কল্পনাতেও ছিল না। দিল্লিতে মূল লড়াই যে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির সঙ্গে বিজেপির, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। সব বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই ছিল সেই ইঙ্গিত। তা বলে কংগ্রেসের এমন ফল হবে সেটা মনে হয় ভাবা ছিল শতাব্দী প্রাচীন দলের।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট গড়ে দিল্লিতে ভোট লড়েছিল কংগ্রেস। জোট শরিক আরজেডিকে ৪টি আসন ছেড়ে দিয়ে, ৬৬ আসনে প্রার্থী দেয় ‘হাত।’
কংগ্রেসের তিন প্রার্থী– গান্ধীনগর থেকে অরবিন্দর সিং লাভলি, বাদলি থেকে দেবেন্দ্র
যাদব এবং কস্তুরবা নগর থেকে অভিষেক দত্ত জমানত রক্ষা করতে পেরেছেন।
কংগ্রেস প্রার্থীদের মধ্যে সবথেকে বেশি ২১.৪২
শতাংশ ভোট পেয়েছেন কস্তুরবা নগরের অভিষেক দত্ত।
দিল্লি কংগ্রেসের প্রধান সুভাষ চোপরার মেয়ে শিবানি চোপরা কালকাজি থেকে প্রার্থী হন। তাঁরও জমানত জব্দ হয়েছে।
দিল্লি বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার যোগানন্দ শাস্ত্রীর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের অবস্থাও তাই। তিনি আবার দিল্লি মহিলা কংগ্রেসের সহ-সভানেত্রীও। মাত্র ৩.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান, প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদের স্ত্রী পুনম আজাদেরও শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। মাত্র ২.২৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন পুনম।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরেছে ৬৩ আসনে।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক