Home পর্যটন সাদা অর্কিডের শহরে পর্যটন উৎসব ১৩ ডিসেম্বর থেকে

সাদা অর্কিডের শহরে পর্যটন উৎসব ১৩ ডিসেম্বর থেকে

অর্কিডের শহর কার্শিয়াং

সাদা অর্কিডের শহর কার্শিয়াং। পর্যটনের জন্য পাহাড়ের কোলে পশ্চিম বঙ্গের শিলিগুড়ির এই ছোট্ট শহরের খ্যাতি সর্বত্র। পাশাপাশি কেউ কেউ এ শহরকে ভালবেসে স্কুলনগরীও বলেন আবার। সেই কার্শিয়াংকে এবার পৃথক ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরতে আয়োজন করা হচ্ছে পর্যটন উৎসবের। নেপথ্যে কার্শিয়াং ট্যুরিজম অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর, টানা তিন দিন চলবে এই উৎসব।

পর্যটন এবং পর্যটন সম্পর্কিত একাধিক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে উৎসবে। বিভিন্ন ছোট ছোট পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে বিশেষভাবে পরিচিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ছোট ছোট হোম-স্টে গুলিকেও উৎসাহ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারও হোম-স্টে গুলিকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেছে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের উদ্যোগে হোম-স্টে গুলিকে পর্যটন দপ্তরের অধীনে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, পাহাড় থেকে সমতল অবধি পর্যটনের উন্নতি এবং তার মাধ্যমে স্থানীয়দের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি করতেই রাজ্যের এই নয়া উদ্যোগ।

পর্যটন উৎসবটির নাম দেওয়া হয়েছে ডেস্টিনেশন কার্শিয়াং ২০২০ টুরিস্ট ফেস্টিভ্যাল। কার্শিয়াং টুরিস্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির তরফ থেকে জিতু রাই জানান, যেভাবে উৎসব থেকে সাজানো হয়েছে। এভাবে পর্যটন উৎসব এর আগে পাহাড়ে কখনও হয়নি। তাই এই উৎসব নিয়ে উৎসাহ ক্রমশই বাড়ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ পর্যটন উৎসবে যোগ দিতে আসতে চাইছেন। এমনকী, এই সময়ে পর্যটকেরা নাকি এই উৎসব উপলক্ষে পাহাড়ে থাকতেও চাইছেন।

প্রচুর খোঁজখবর করা হচ্ছে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ওই তিন দিনের জন্য জিটিএ-র তরফ থেকে এই উৎসবে সম্পূর্ণ সহযোগিতাও করা হচ্ছে। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক বছরে কার্শিয়াং এবং লাগোয়া এলাকায় একশোটির বেশি হোম-স্টে চালু হয়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ৫০টির বেশি হোটেল এবং লজ রয়েছে শহরে। সবগুলিকে আরও বেশি পরিচিত করতে এবং এগুলির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে এই ধরনের উৎসব খুবই ফলপ্রসূ হবে, বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। সেটিকেও প্রচারের আলোয় আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিজনেসটেুডে২৪ ডেস্ক