আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তন্ত্রসাধনার আড়ালে সপ্তম শ্রেণির এক নাবালিকা ছাত্রীকে অচেতন করে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রফুল্ল রায় নামে এক তান্ত্রিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির গোঘাট থানার পুলিশ। তাকে বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গোঘাট থানার অন্তর্গত বালি পঞ্চায়েতের দীঘড়া গ্রামে। অভিযোগ অনুযায়ী, নদীর ধারে এক নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তন্ত্রসাধনার নামে ওই ছাত্রীকে বেহুঁশ করে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। জ্ঞান ফিরতেই নিজের শরীর সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে শিশুটি। ভয়, লজ্জা ও আতঙ্কে প্রথমে পরিবারের কাছে কিছু বলতে পারেনি সে। তবে অভিযুক্ত যখন পুনরায় তাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করে, তখন সাহস সঞ্চয় করে প্রতিবাদ জানায় এবং ঘটনাটি জানিয়ে দেয় প্রতিবেশীদের।
এই ঘটনার পর এলাকাবাসী চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নির্যাতিতার মা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে এবং অবশেষে বুধবার রাতে চন্দ্রকোনার রামজীবনপুর এলাকা থেকে প্রফুল্ল রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রফুল্ল রায় দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে তান্ত্রিক পরিচয় দিয়ে গ্রামে বিভিন্ন মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। বহুবার তাঁকে এলাকায় দেখা না গেলেও, কেউ প্রকাশ্যে অভিযোগ করার সাহস পেতেন না। এই ঘটনায় সাহস দেখিয়ে মেয়েটি মুখ খোলায় তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন ও যৌন হেনস্তা সংক্রান্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক পুনর্বাসনের বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানায় প্রশাসন।
