বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ভারতের হায়দরাবাদের মেডিপল্লি এলাকার বালাজি হিলসে এক যুবক তার গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। মৃতার নাম স্বাতী, বয়স ২১। পুলিশ জানিয়েছে, স্বাতী পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে স্বাতীকে খুন করেন তার স্বামী মহেন্দ্র, যিনি অ্যাপভিত্তিক গাড়ি সংস্থার চালক। খুনের পর মহেন্দ্র স্বাতীর দেহ টুকরো করে মুসি নদীতে ফেলতে শুরু করেন। তার মধ্যে মাথা, হাত এবং পা নদীতে ফেলা হয়, তবে ঘরের ভেতরে লুকোনো অবস্থায় পাওয়া যায় শরীরের বাকি অংশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর মহেন্দ্র স্বাতীর বোনকে ফোন দিয়ে জানান যে স্ত্রী নিখোঁজ। বোন সন্দেহ করলে আত্মীয়ের কাছে যান, এবং তারা মহেন্দ্রকে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় জেরার সময় তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন।
ডিসিপি (মল্কাজগিরি জোন) পি ভি পদ্মজা জানান, “অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফরেন্সিক প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মৃতদেহ শনাক্ত করা হবে। মামলা রুজু করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও বিচার হবে।”
স্বাতীর বাবা অভিযোগ করেছেন, মহেন্দ্রের সঙ্গে কিছুদিন ধরে মেয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে সব সময় বলত ভালো আছে, কিন্তু আসলে সে নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল। যে কষ্ট আমার মেয়েকে দেওয়া হয়েছিল, তারও সেই ফল ভোগ করতে হবে।”
নয়ডায় নিক্কি খুনের নৃশংসতার ঘটনায় দেশ এখনও শিউরে উঠেছে। তার মধ্যে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার ঘটনা এবং দেহ কেটে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা নতুন করে উদ্বেগ ও প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক সহিংসতা নিয়েও।