Home Second Lead যুদ্ধের ছায়ায় থমকে গেল আইপিএল

যুদ্ধের ছায়ায় থমকে গেল আইপিএল

ধর্মশালায় বন্ধ হলো ফ্লাডলাইট, মাঠ ছাড়লেন খেলোয়াড়রা 

খেলা থামল ১০ ওভার ১ বলের মাথায়

চিয়ারলিডার বললেন সবাই চিৎকার করছিল, বোম আসছে

বিসিসিআই জানাল, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

স্পোর্টস ডেস্ক:

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হলো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৭তম আসর। বৃহস্পতিবার (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালীন পাকিস্তানের ড্রোন হামলার আশঙ্কায় ম্যাচটি মাঝপথেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ম্যাচে তখন ১০ ওভার ১ বল খেলা শেষ। স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট ধীরে ধীরে নিভে যেতে থাকে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দর্শক, খেলোয়াড় ও মাঠকর্মীদের মধ্যে। নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। মাঠে থাকা বিদেশি এক চিয়ারলিডার সেই মুহূর্তের অভিজ্ঞতা ভিডিও করে শেয়ার করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, “হঠাৎ করে ঘোষণা এলো—স্টেডিয়াম খালি করতে হবে। চারপাশে আতঙ্ক। কেউ চিৎকার করছে, বোম আসছে! আমরা তখনও বুঝে উঠতে পারিনি, কী হচ্ছে। আলো নিভে যাচ্ছে, গা শিউরে ওঠে এমন অভিজ্ঞতা।”

বিসিসিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “দেশ যখন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে, তখন ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। জাতির পাশে দাঁড়ানো এখন প্রধান কাজ। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”

ধর্মশালার ম্যাচ বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই অঞ্চলের বিমান চলাচলও। ফলে দলগুলোর ভ্রমণসহ বাকি ম্যাচ আয়োজন আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো এখন স্থগিত। এ বছরের আসরে এখনও অন্তত ১২টি গ্রুপ ম্যাচ ও প্লে-অফ বাকি ছিল। বিসিসিআই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কবে আবার খেলা শুরু হবে, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি।

সীমান্ত উত্তেজনার প্রভাব শুধু ভারতেই নয়, পড়েছে পাকিস্তানেও। পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো ইতিমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশ্ব ক্রিকেট এখন চুপচাপ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খেলার মাঠও যেন থমকে গেছে।