ঢাকা: রাজধানীর বাইকচালক কমিউনিটির প্রতি সম্মান জানিয়ে ও তাদের সহযোগিতায় বাইকপ্রেমীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্সের পারফরমেন্স লুব্রিকেন্ট ব্র্যান্ড ইএলএফ লুব্রিকেন্টস। টোটালএনার্জিসের এই ব্র্যান্ডটি সম্প্রতি আয়োজন করেছে “ইএলএফ মর্নিং রাইড” নামে একটি কমিউনিটি ওয়েলবিইং রাইড।
তেজগাঁওয়ের জাপান পার্টস শোরুম থেকে শুরু হয়ে ৩০০ ফিট এলাকার কাঞ্চন ব্রিজে শেষ হয় এই রাইড। এতে অংশ নেন পাঠাও রাইডার, কমিউনিটি রাইডার, গণমাধ্যমকর্মী এবং ইএলএফের ক্রেতাসহ বিভিন্ন অংশীদার।
যৌথভাবে এ আয়োজন করে রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ও ইএলএফ। স্বাস্থ্যসেবায় অংশীদার হিসেবে ছিল আরোগ্য। আয়োজকদের ভাষায়, ঢাকাকে প্রতিদিন যারা সচল রাখেন—সেসব রাইডারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো ও তাদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সুস্থতার প্রতি সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে আরোগ্যের সহযোগিতায় একশ জন পাঠাও রাইডার বিনা খরচে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সুযোগ পান। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল পাঁচটি মৌলিক চিকিৎসা পরীক্ষা। নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার বাইরে থাকা রাইডারদের জন্য এটি ছিল বিশেষ সুযোগ।
ইএলএফ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান সাজেদুর রহমান বলেন, “বাইক চালকেরা ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই আমরা ‘ইএলএফ মর্নিং রাইড’ আয়োজন করেছি। এটি তাদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। পাঠাও রাইডারদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। প্রতিদিন যারা ঢাকাকে সচল রাখেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে পারা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। এটি শুধু একটি আয়োজন নয়, ইএলএফ লাইফস্টাইলেরই অংশ।”
আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা করেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সময় কাটান। ইএলএফের মতে, পারফরমেন্স মানে শুধু ইঞ্জিন নয়, বরং চালকের যত্ন ও নিরাপত্তাও এর অংশ।
ইএলএফ বাংলাদেশের পরিচালক কোসুকে ইয়োশিদা বলেন, “এই রাইডের মূল বার্তা হলো কমিউনিটি ও যত্ন। বন্ধুত্বপূর্ণ রাইড ও বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করেছি। এই উদ্যোগ রাইডারদের ক্ষমতায়ন, তাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও নিরাপদ রাইডিং সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টোটালএনার্জিস বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিক্রয় পরিচালক টেরি হায়াশি। তিনি নিজেও রাইডে অংশ নেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
১৩৬টিরও বেশি ফর্মুলা ওয়ান জয়ের অভিজ্ঞতা এবং আলপাইন রেনল্ট, সিএফ মোটরস ও রয়্যাল এনফিল্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ইএলএফ তার বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের বাজারে এনেছে।
প্রতিবছর প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটি, যাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর রাস্তা ও আবহাওয়ার উপযোগী উচ্চমানের লুব্রিকেন্ট তৈরি করা যায়। “ইএলএফ মর্নিং রাইড”-এর মতো সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শুধু প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ নয়, সামাজিক দায়িত্বও পালন করছে। তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের রাইডারদের মধ্যে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পারস্পরিক সহমর্মিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি










