বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে মে ৯-এর সহিংসতা সংক্রান্ত আটটি মামলায় জামিন দিয়েছেন। তবে অন্য একটি মামলার সাজা বহাল থাকায় তিনি আপাতত কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না।
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ—প্রধান বিচারপতি ইয়াহ্ইয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে বিচারপতি হাসান আজহার রিজভি ও বিচারপতি মুহাম্মদ শাফি সিদ্দিকি—ইমরান খানের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালত রায়ে উল্লেখ করে, জামিন আবেদন পর্যায়ে মামলার মূল প্রমাণ যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই, বরং অভিযোগ প্রমাণের বিষয়টি বিচারের সময় নির্ধারণ করা হবে।
এর আগে, লাহোর অ্যান্টি-টেররিজম কোর্ট ২০২৪ সালের নভেম্বরে এবং লাহোর হাইকোর্ট ২০২৫ সালের ২৪ জুন ইমরান খানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন এবং অবশেষে শীর্ষ আদালত তাঁর পক্ষে রায় দেয়।
মুক্তি নিয়ে সংশয়
যদিও আট মামলায় জামিন মিলেছে, তবুও ইমরান খান এখনই মুক্ত হতে পারছেন না। কারণ, তিনি এখনও অল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজা ভোগ করছেন। এ মামলা থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর কারামুক্তি সম্ভব নয়।
পিটিআইয়ের প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে “বড় জয়” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ইমরান খানের প্রতি জনগণের আস্থা ও ভালোবাসার প্রমাণ আবারও মিলল।” সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে হ্যাশট্যাগ #VictoryForImranKhan।
পটভূমি
২০২৩ সালের ৯ মে ইমরান খানের গ্রেপ্তার ঘিরে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সেনা স্থাপনা ও সরকারি ভবনে হামলার অভিযোগে পিটিআই কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়। এ ঘটনার পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নানা আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েন।
উপসংহার
সুপ্রিম কোর্টের এ সিদ্ধান্তকে ইমরান খানের জন্য একটি আইনি স্বস্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে অল কাদির ট্রাস্ট মামলার রায় বহাল থাকায় তাঁর মুক্তি এখনো অনিশ্চিত। ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা ও টানাপোড়েন অব্যাহত থাকছে।