এভিয়েশন ডেস্ক:
ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে দিল্লি ও ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই নতুন রুট চালুর মাধ্যমে ভারত ও ফিলিপাইনের মধ্যে একমাত্র নন-স্টপ ফ্লাইট পরিচালনাকারী ভারতীয় বিমানসংস্থা হতে যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়া।
সপ্তাহে পাঁচদিনসোম, বুধ, বৃহস্পতি, শনিবার ও রোববার চলবে এই পরিষেবা। ব্যবহৃত হবে আধুনিক এয়ারবাস এ৩২১নিও উড়োজাহাজ, যার তিনটি শ্রেণিতে আসন রয়েছে: বিজনেস, প্রিমিয়াম ইকোনমি ও ইকোনমি।
সম্প্রতি ফিলিপাইন সরকার ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ১৪ দিন পর্যন্ত ভিসামুক্ত প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে, যা দিল্লি-ম্যানিলা রুটে যাতায়াত আরও সহজ করে তুলবে। এটি ভারতীয় পর্যটকদের জন্য বোরাকায় দ্বীপের সাদা বালুকাবেলা, পালাওয়ানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সেবুর ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখার এক নতুন সুযোগ।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাম্পবেল উইলসন বলেছেন, “দিল্লি-ম্যানিলা রুট চালুর মাধ্যমে আমরা ভারতের সঙ্গে বিশ্বের আরও অংশকে নন-স্টপ যুক্ত করার মিশনে আরেকটি ধাপ এগোলাম। বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক ব্যয়কারী পর্যটক এখন ভারতীয়রা, আর ফিলিপাইনের নতুন ভিসা নীতিমালা পর্যটনের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক সম্ভাবনা তৈরি করবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দরজা খুলে দিতে পেরে আনন্দিত।”
ফিলিপাইনের ৭ হাজারের বেশি দ্বীপ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ভারতীয় পর্যটকদের কাছে এক বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করে। পাশাপাশি, ভারতের সঙ্গে ফিলিপাইনের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ক্রমবর্ধমান। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৩ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে, যা ২০১৫-১৬ সালে ছিল ১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার।
নতুন এই রুটের বুকিং ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। আগ্রহীরা এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, বিমানবন্দরের টিকিট অফিস, কল সেন্টার ও ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে টিকিট কাটতে পারবেন।
উল্লেখ্য, টাটা সন্সের অধীনে ফিরার পর এয়ার ইন্ডিয়া ‘বিহান.এআই’ নামক পাঁচ বছরব্যাপী রূপান্তর কর্মসূচি হাতে নেয়। এর অংশ হিসেবে ৫৭০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনা হচ্ছে, চালু হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম উড়োজাহাজ প্রশিক্ষণ একাডেমি এবং নির্মাণাধীন রয়েছে একটি নতুন গ্রিনফিল্ড রক্ষণাবেক্ষণ ঘাঁটি, যা ২০২৬ সালের মধ্যে চালু হবে।