ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আহসান করপোরেশন গত ১৫ মে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘ফ্রেশ ন্যাভেল অরেঞ্জ’ নামে চালানটি ঘোষণা করে। খালাস কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড। ঘোষণার সঙ্গে পণ্যের গড়মিল দেখে সন্দেহ হলে কাস্টমস হাউস কনটেইনারটি ‘ফোর্সড কিপ ডাউন’ পদ্ধতিতে খুলে পরীক্ষা করে। সেখানে মাত্র ৩৮ কার্টুন কমলালেবু পাওয়া যায়, বাকিগুলো ছিল ল্যামার ও অস্কার ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেটের কার্টুন। সংখ্যায় এক হাজার ২৫০টি।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই চালানের মাধ্যমে বিপুল শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা হয়েছে। এ বিষয়ে কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, “ভুয়া ঘোষণা ও নথিপত্র ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। পুরো প্রক্রিয়া শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, দেশে বৈধভাবে বিদেশি সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কবার্তা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও, জব্দ করা সিগারেটগুলোতে এমন কোনো বার্তা ছিল না।
নিয়মানুযায়ী, মান যাচাই শেষে এসব অবৈধ পণ্য ধ্বংস অথবা সরকার অনুমোদিত নিলামের মাধ্যমে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, বিষয়টি রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টিতেও আনা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে ইতোমধ্যে তলব করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পণ্য আমদানি সংক্রান্ত নজরদারি, বন্দর নিরাপত্তা এবং পণ্য যাচাইকরণ ব্যবস্থার দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের জালিয়াতি রোধে স্ক্যানিং ও হাইরিস্ক কার্গোর উপর অগ্রাধিকারভিত্তিক নজরদারি আরও জোরদার করা প্রয়োজন।