Home নির্বাচন পারিবারিক ভোটযুদ্ধ: একভাই জামায়াতের, আরেকভাই বিএনপির প্রার্থী

পারিবারিক ভোটযুদ্ধ: একভাই জামায়াতের, আরেকভাই বিএনপির প্রার্থী

বিএনপির প্রার্থী আলহাজ আজিজুর রহমান ও জামায়াতের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক।
নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চিলমারি, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম‑৪ সংসদীয় আসনে এখন এক বিরল রাজনৈতিক দৃশ্য দৃশ্যমান। জায়গাটি মূলত ঐতিহ্যগতভাবে জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান নির্বাচনে একই পরিবারে দুই ভাই ভিন্ন রাজনৈতিক প্রতীকে নির্বাচনী মাঠে নামায় রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বড় ভাই আলহাজ আজিজুর রহমান ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)- এর মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যদিকে ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙা পরিবারিক ভোটভিত্তি ও ভিন্ন প্রতীকের কারণে এখানে ভোটচিত্র আগের মতো একরূপ থাকবে না।

বড় ভাই আজিজুর রহমান বলেন, “২০১৮ সালে আমি নির্বাচন করেছি। তখন ভাই (মোস্তাক) আমার কর্মী ছিলেন, এখন তিনি জামায়াতের প্রার্থী। তবে আমার বংশের সকল চাচাতো ভাই ও দলীয় নেতাকর্মীরা আমার পক্ষে রয়েছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে আমার নির্বাচনী অভিজ্ঞতা রয়েছে, জামায়াতে ইসলামি আমার ভাইকে প্রার্থী করে কোনো সুফল পাবে না। আমি জিতব ইনশাআল্লাহ।”
ছোট ভাই মোস্তাক বলেন, “ভাই বিএনপির প্রার্থী হলেও আমার ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমার কয়েকজন চাচাতো ভাই নীরব থাকলেও যারা যাবে, তারা আমাকে সমর্থন করবে। আমি অনেক আগে থেকেই প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত, তাই মাঠও  একেবারে সাজানো-গোছানো। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণত বিএনপি–জামায়াত ঐতিহ্যগতভাবে একসঙ্গে ভোটভিত্তি করে আসলেও এবার পারিবারিক ভাঙন সেই ভিত্তি দুর্বল করতে পারে। একই পরিবারের দুই ধারে ভাগ হওয়া সমর্থন ওই ঐতিহ্যকে চ্যালেঞ্জ করছে।

এই নির্বাচনী প্রতিযোগিতা শুধু দুই ভাইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি স্থানীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে একটি নতুন অধ্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে ব্যক্তি, পরিবার ও দল একসাথে রূপ নিচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে তাদের প্রচারণার ধরণ, ভোটারদের মনোভাব পরিবর্তন এবং ভোট লাভের সম্ভাবনা কেমন সেটাই নির্ধারণ করবে  ভোটের ফলাফল।

আপনি কি মনে করেন, একই পরিবারের দুই ভাই ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে নামায় ভোটে প্রভাব পড়বে?

মন্তব্য করুন এবং আপনার মতামত জানান। আপনার মন্তব্য হতে পারে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা সাধারণ প্রতিক্রিয়া।