বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি,
ঢাকা: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সমুদ্রপথে যোগাযোগ অধিকতর সহজ করতে চট্টগ্রাম-রেনং সরাসরি জাহাজ রুট চালু হচ্ছে। বিষয়টি দু’দেশের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছ।
এ ব্যাপারে সম্ভাব্যতা পরীক্ষা শিগগির শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
শিপিং সংশ্লিষ্টদের কয়েকজন জানালেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পণ্য আনা-নেয়া করতে সময় লাগে ৭দিন থেকে ১২ দিন পর্যন্ত। সরাসরি পথে জাহাজ চলাচল হলে তা ৫দিনে নেমে আসবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার পোর্ট ক্লাং অথবা সিঙ্গাপুর পোর্ট হয়ে দু’দেশের পণ্য আনা-নেয়া করতে হয়। ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট এড়িয়ে আমদানি-রপ্তানিতে সময় লাগবে কম। খরচও কমবে।
সরাসরি সমুদ্রপথটি চালু হলে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং কম্বোডিয়াও তা ব্যবহারে আগ্রহী হবে বলে অভিমত শিপিং ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্টদের।
জানুয়ারির প্রথমদিকে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ ৫ম যৌথ বাণিজ্য কমিটির বৈঠকে সরাসরি জাহাজ রুট চালুর বিষয়টি স্থান পায়। দু’পক্ষই নীতিগতভাবে এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে সরাসরি পথের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে।
২০১৮ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ১.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১.২ বিলিয়ন ডলারের। এর বিপরীতে রপ্তানি অবশ্য কম। মাত্র ৫৯.২৪ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
ভারত এবং পাকিস্তানের পর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হল বাংলাদেশ। ২০০৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এখানে তাদের সরাসরি বিনিয়োগ ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। আর বাংলাদেশের সেখানে বিনিয়োগ ১.১২ মিলিয়ন ডলারের।