বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নৌপথে চাঁদাবাজির মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সদস্য আজমল হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (০৯ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাকৃত আজমল হোসেন উপজেলার লেঙ্গুড়া গ্রামের ফয়সল আহমদের ছেলে। তিনি নদী পথে নৌকা আটকে চাঁদাবাজি মামলার প্রধান আসামি হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন। এর পাশাপাশি, চাঁদাবাজির অন্য আসামিরা হলেন লেঙ্গুড়া গ্রামের মৃত আ. সালামের ছেলে সুলতান আহমদ, ফজর রহমানের ছেলে বিল্লাল মেম্বার, মৃত মুসাব্বিরের ছেলে সুবহান, ফারুক আহমেদের ছেলে শাকিল, মৃত ফজু রহমানের ছেলে ফারুক মিয়া এবং মৃত আ. মুসাব্বিরের ছেলে ফয়সল মৌলবি।
জানা গেছে, গত মাসে সরকারি ইজারাকৃত বালু মহাল থেকে বালুবাহী নৌকাগুলো যাওয়ার পথে আজমল হোসেনের নেতৃত্বাধীন চাঁদাবাজ চক্র অবৈধভাবে প্রায় দুই শত বাল্কহেড আটক করে রেখেছিল। ইজারাদারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় নৌ শ্রমিকরা গোয়াইনঘাট থানার সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বালুবোঝাই ওই বাল্কহেডগুলো আজমল বাহিনীর দখলে ছিল। এই ঘটনার কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং প্রশাসনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। ৬ জুলাই উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী জিম্মি থাকা বালুবোঝাই বাল্কহেডগুলো উদ্ধার করে। অভিযানের সময় আজমল পালিয়ে গেলেও তার কয়েকজন সহযোগীকে আটক করা হয়।
গোয়াইনঘাট থানায় আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ৩২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০-৪৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলায় দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
র্যাব-৯ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে আজমল হোসেনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে তাদের গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার তোফায়েল আহমদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।