চা বাগিচার কড়চা: পর্ব শেষ
অপূর্ব দাশগুপ্ত: আমি যতদিন চা-বাগানে কাটিয়েছি সেটা ছিল যেন একটা স্বপ্ন-সময়। আমার মনে হয় এ স্বপ্ন-সময়ের কথা শুধু আমার কথা নয়, আমাদের সে সময়ের সমস্ত বন্ধুদের মনের কথা। ১৯৭৪ সালে হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষার পর গঙ্গা পেরিয়ে দক্ষিণবঙ্গে আসার পরও বেশ কয়েকবছর আমি স্বপ্নের ঘোরের মধ্যেই ছিলাম। তারপর নানা ধরনের বাস্তব সমস্যা এসে আমার সেই ঘোর-লাগা মনটাকে পাল্টে দিয়েছিল। প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলাম, এতদিন যেভাবে পড়াশুনো করে এসেছি সেভাবে আর চলবে না। পাঠ্য বইগুলিকে অবহেলায় ফেলে রেখে পছন্দের বই পড়ার দিন শেষ হয়েছে।
কলেজে বেশ কয়েকজন ভালো বন্ধু পেলেও টের পাচ্ছিলাম তারা আমার চেয়ে অনেক বেশি বাস্তববাদী। তাদের প্রভাব আমার উপরে ক্রমাগত পড়ছিল। ব্যাপারটা একদিন টের পেলাম আমার লেখা পুরনো ডাইরিগুলি পড়ে। আমার এক কাকিমা আমাকে ডাইরি লেখার অভ্যাস করিয়েছিলেন ক্লাস সেভেন-এইট থেকে। কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়, পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসে, সেগুলো পড়ে মনে হল এই পাগলামিগুলোকে এবার নষ্ট করা দরকার। বেশ কিছু নষ্ট করেও ফেলেছিলাম। কিন্তু চা-বাগান থেকে চলে আসার সময় এর কতকগুলো মা সঙ্গে এনেছিল। বিবর্ণ সেই ডাইরি থেকে বেশ কিছু লেখা এখনও উদ্ধার করা যায়।
আজও আমি খুব স্বপ্ন দেখি, ঘুমের ভেতর যে স্বপ্ন দেখা যায় আর কি। ছোটবেলায় স্বপ্নের প্রাবল্য ছিল আরও অধিকতর। তার অন্তত একটি নিদর্শন দেবার ইচ্ছে হচ্ছে। আমার ধারণা, আমার যে সমস্ত বন্ধুরা এখনও ওখানে রয়ে গেছে, তাদের কয়েকজন এখনও এমনি স্বপ্ন দেখে থাকে। ডাইরির পাতায় লেখা একটা স্বপ্ন এরকম:
“আজ ভোরেরবেলায় এক আশ্চর্য স্বপ্ন দেখলাম। স্বপ্নটা লিখে রাখি, না হলে ভুলে না-গেলেও এমন টাটকা আর থাকবে না স্মৃতিতে। দেখলাম– আমরা এলোমেলো খেলা করছি বিচ লাইনের মাঠে। খুব ছোট হয়ে গেছি আমরা আবার। টুকু আমাকে ডেকে বলছে, দ্যাখ দ্যাখ, মেঘেরা নেমেছে মাঠে। ঐ বেগুনি মেঘটার ভেতরে ঢুকি চল। শেষ বিকেলের মায়াবী আকাশ থেকে বিচ লাইনের মাঠে কখন যে নেমে এসেছে শরতের পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ, তা আমি টের পাইনি। টুকুর কথায় চেয়ে দেখি, কী ম্যাজিক লেগেছে! কী যে চোখ ধাঁধানো রং আজ মেঘেদের। ঘন নীল, সমুদ্রনীল, বেগুনি, সাদা, গোলাপি… আরো কত। বিভিন্ন তাদের আকার, বেশিরভাগ গোলাকৃতি। মেঘেরা নেমে এসেছিল আশ্চর্য নীরবতায়, মৃদু হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে। তাদের রঙিন প্রভায় বিকেলের ধূসর রঙ কোথায় উধাও হয়ে গিয়েছিল।
দেখামাত্র আমি, বাবলু, বিশু, রুমনি, টুকু সকলে মেঘেদের মধ্যে ঢুকে ছুটোছুটি শুরু করে দিলাম। মেঘেদের মধ্যে ঢুকতেই আমাদের শরীর সব হাল্কা হয়ে গেল। বাবলু চিৎকার করে বলল, সাঁতার কাটা যাচ্ছে। আমাদের গায়ে লেগে গেল মেঘের রঙ, মেঘের ঘ্রাণ যেন অনেকটা আবিরের মতো। এর মধ্যে টুকু আমাকে ডেকে বলল, সামনে দ্যাখ, ডানদিকে ঐ যে বিরাট একটা সাদা মেঘ, চল এবার ওটার মধ্যে যাই। সেখানে ঢুকে দেখি, সামনেটা পরিষ্কার। একটু দূরে চা-বাগানের সবুজ রেখা দেখা যাচ্ছে। চা-বাগানের উপরে মেঘ নেই, যেই আমরা সাদা মেঘটা পার হলাম অমনি পড়ে যেতে লাগলাম নীচে চা-বাগানের ওপর… পড়ে যেতেই ভাঙল ঘুম।”
বাস্তবেও সেসব দিনে এমন সব ঘটনা ঘটত, যে দিনগুলো স্বপ্নেরই মতো হয়ে উঠত। একদিন সকালবেলা দুধ দোয়াতে এসে যোগিন্দর বললো, গারোপাড়ার ফরেস্ট থেকে একটা গন্ডার নাকি চা-বাগানে এসেছে। সেদিন ছিল রবিবার, সুতরাং আমার ও দাদার তাড়নাতে আমাদের দুই কাকা আমাদের নিয়ে বেরলেন। মণিকাকার সাইকেলের রডে আমি, পেছনে সুন্দরকাকার সাইকেলের ক্যারিয়ারে দাদা। সাদা কুঁচিপাথর বিছানো রাস্তায় সাইকেলে যেন ঝিম ধরে। পাথরের সঙ্গে সাইকেলের চাকার ঘর্ষণে একটা চরচর শব্দ ওঠে। পাখিরাও ডাকছে। ডুয়ার্সের ভয়ংকর বর্ষা শেষ হল, শরত এসেছে। তারই সকালের নরম রোদ এসে পড়েছে চা-গাছগুলোর ওপরে, শেড-ট্রিগুলোর মাথায়। হাসপাতালকে বাঁ দিকে রেখে আরো কিছুটা এগিয়ে রাস্তা ঘুরেছে বাঁ দিকে, সেদিকেই গারোপাড়া চা-বাগান।
খুব ছোট হয়ে গেছি আমরা আবার। টুকু আমাকে ডেকে বলছে, দ্যাখ দ্যাখ, মেঘেরা নেমেছে মাঠে। ঐ বেগুনি মেঘটার ভেতরে ঢুকি চল। শেষ বিকেলের মায়াবী আকাশ থেকে বিচ লাইনের মাঠে কখন যে নেমে এসেছে শরতের পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ, তা আমি টের পাইনি। টুকুর কথায় চেয়ে দেখি, কী ম্যাজিক লেগেছে! কী যে চোখ ধাঁধানো রং আজ মেঘেদের। ঘন নীল, সমুদ্রনীল, বেগুনি, সাদা, গোলাপি… আরো কত।
বাঁ দিকে ঘুরেই একটা পশু-ফাঁদ, চা-বাগানে এর নাম ‘ক্যাটল ট্র্যাপ’। চা-বাগানের প্রান্তগুলিতে সাধারণত ছ’সাত ফুটের এক একটা ড্রেন কাটা থাকত। তার উপর আড়াআড়ি করে পাতা ইঞ্চিখানেক চওড়া দু’তিনটে লোহার পাতের উপর লম্বালম্বি ভাবে পাতা থাকত বেশ কয়েকটা সরু সরু পাত। এগুলো দিয়ে গরু-মোষ আটকানো গেলেও, ছাগলেরা আড়াআড়ি পাতগুলোর উপরে পা ফেলে দিব্যি পার হয়ে বাগানে ঢুকে পড়ত। মানুষের পক্ষে পা-ফেলে পার হতে অসুবিধা ছিল না, তবে সাইকেল ‘ক্যাটল ট্র্যাপ’-এ উঠলেই আরোহী-সহ সাইকেল ঠকঠক করে কাঁপতে থাকত। ক্যাটল ট্র্যাপ পার হতেই আবার রাস্তা শুরু। দুদিকে চা-বাগানের মধ্যে দিয়ে রাস্তা। সামনের দিকে যেতে যেতে যেন ক্রমশ আরো সরু হয়ে গেছে, দূরের দিকে তাকালে এরকম বিভ্রম তৈরি হয়। দিগন্তে নীল ঝাপসা জঙ্গল। রাস্তার দু’পাশের চা-বাগানও বহুদূর বিস্তৃত।
চা গাছকে যদি স্বাভাবিকভাবে বাড়তে দেওয়া যায়, তবে তারা পাঁচ থেকে সাত মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু পাতা তোলার সুবিধার জন্য তাদের ১.২৫ মিটার উচ্চতায় ছেঁটে ফেলা হয়। সুতরাং দু’পাশের চা-গাছগুলি সব বেঁটে। তিন-চার ফুট উঁচুতে যেন মসৃণ সবুজ মাঠ। কোনও কোনও চা-বাগানে, হয়তো সৌন্দর্যায়নের কারণে রাস্তার দু’ধারের গাছগুলোকে স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়া হত। তখন ওদের দেখাত ফ্রকপরা লম্বা একলাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মতো। আমার বড়কাকা ছিলেন ভার্নাবাড়ি চা-বাগানে। তাঁর ওখানে যেতে যেতে আমরা এদের রূপ দেখতে পেতাম।
চা-বাগানে যখন আমরা ‘বাবু বাসা’র মধ্যে থাকতাম, তখন বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন ফুলের গন্ধের সঙ্গে আমাদের মেলামেশা ছিল। বিশেষত বর্ষায়। প্রতিটি বাড়িতেই সামনের বাগানে ফুলের গাছ থাকবেই, মালিদের যত্নে তাদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটত। কিন্তু ‘বাবুবাসা’ পেরিয়ে যত দূরে যেতাম, চা-বাগানের মধ্যে, গন্ধ তখন পাল্টে যেত। চা-গাছের গন্ধের সঙ্গে এসে মিশত বুনো ফুল, ঘাস, নানা ঝোপঝাড়ের আর মাটির গন্ধ। গারোপাড়ার দিকে এগোতে এগোতে এই গন্ধ সেদিন তীব্রতর হয়ে উঠেছিল। আরো খানিকটা যাবার পর বেশ কিছুটা দূরে চা-বাগান ও জঙ্গলের মিলনসীমায় একটা অর্ধবৃত্তাকার মানুষের ভিড় দেখা গেল। বোঝা গেল ওখানেই তিনি আছেন।
নুড়ি বিছানো রাস্তা থেকে এবার সাইকেল নেমে পড়ল মাটির রাস্তায়। দু’দিকে সবুজ ঘাসের চাপড়া-মাঝখান দিয়ে ফুটখানেকের মেটে রাস্তা। সাইকেল চলেছে সেই পথে। কৌতূহল মিটিয়ে একদল মদেশীয়া নর-নারী ফিরছিল। অধিকাংশই নারী। আমাদের দেখে তারা অকারণে হেসে উঠল। মদেশীয়া মেয়েরা কাজের বাইরের সময়ে বেশ একটু সেজেগুজে থাকতেই ভালবাসে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে তাদের সকলেরই গায়ের রঙ শ্যামচিক্কণ। মেয়েদের মুখের গড়ন পানপাতার মতো। বাঙালি ঢঙেই তারা শাড়ি পরে। চুল বাঁধে আঁটোসাঁটোভাবে। এই সকালেও তারা পরিচ্ছন্ন হয়ে বেরিয়েছে। তাদের পরামর্শে সাইকেল সেখানেই রেখে আমরা অকুস্থলের দিকে রওনা হলাম। আমার কাকারা সবাই আমাকে খুবই ভালোসতেন, কিন্তু আমার মণিকাকার আমার প্রতি পক্ষপাতিত্ব দৃশ্যত বোঝা যেত। উনি আমাকে সুযোগ পেলেই কাঁধে চাপিয়ে নিতেন। ক্লাস ফোরে বৃত্তি পরীক্ষার ফল বেরলে তিনি আমাকে কাঁধে তুলে এমন একটা দৌড় দিয়েছিলেন, যা আমাদের পরিবারে তো বটেই আমাদের বাগানেও চর্চিত ছিল।
তিন-চার ফুট উঁচুতে যেন মসৃণ সবুজ মাঠ
আজও মণিকাকা আমায় হাঁটতে দিলেন না, কাঁধে করে নিয়ে চললেন। চা-বাগানের সীমা শেষ হলেই বড়ো বড়ো ঘাসের জঙ্গল। তার পেছনে গারোপাড়ার বনস্পতিঘন বনাঞ্চল। সকাল আটটা সাড়ে আটটা বাজে। রোদ্দুর এখনো নরম। বাতাস দিচ্ছে, সে বাতাসে সবুজ-লালে মেশা ঘাসগুলির মাথা দুলছে। মণিকাকার কাঁধে থাকার কারণে আমাদের দলের সবার আগে আমি দৃশ্যটা দেখতে পেলাম। একেবারে ছবির বইয়ের মতো, রূপালি-খয়েরিতে মেশা গায়ের রং, শরীরময় উঁচু উঁচু ঢিপি। সে খুবই শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইতিমধ্যে বেশ জনসমাগম হয়েছে।
বৃহদাকায় গন্ডারটিকে ঘিরে কলরোল উঠছে। গন্ডারটির নিরীহ ও নিস্পৃহ ভাব মানুষজনকে আরো সাহসি করে তুলেছে। আমাদের ক্লাসের চেতককে দেখি তার বাবার হাত ধরে অন্যহাতে কয়েক গাছি ঘাস নিয়ে গন্ডারটির দিকে এগুচ্ছে। গারোপাড়া বাগানের অনেক মানুষ এসে পৌঁছেছে। আজ মদেশিয়া, নেপালি শ্রমিক, বাঙালিবাবু সবাই এক সারিতে এসে দাঁড়িয়েছে। আমার অনেক বন্ধুরাই ইতিমধ্যে এসে গেছে। দাদার বন্ধুরাও পৌঁছেছে। ডাকুদা, গোরাদা-রা দাদাকে ডেকে নিল। কাকার স্কন্ধারূঢ় আমিও মাটিতে নেমে এলাম। চারদিকে একই আলোচনা, কী করে গন্ডার এলো হঠাৎ করে। আমাদের বাগানের বড়বাবু ছিলেন ভারী অন্যরকমের মানুষ। অফিস-অন্তপ্রাণ। আর কোনওদিকে তাঁর কৌতূহল দেখিনি খুব একটা, একমাত্র মাঝে মাঝে ফুটবল মাঠে রেফারিগিরি করা ছাড়া।
তখনও বাবুদের মধ্যে অনেকেই ধুতি পরতেন। বড়বাবুকে আমরা কিন্তু ফুলপ্যান্ট পরিহিতই দেখেছি। তাঁর চেহারাটি ছিল শুকনো, মুখখানি বৈশিষ্ট্যহীন, লালচে রঙের প্রায় গোলাকৃতি একটা চশমা পরতেন তিনি, কাঁচে অর্ধচন্দ্র আঁকা। তখন ঢোলা প্যান্ট পরার রেওয়াজ ছিল। সাইকেল চালাবার সময় তিনি প্যান্টের নীচের দিকে গোলাকার একটা রিং বেঁধে নিতেন, সাইকেলের চেনের সঙ্গে প্যান্টের জড়াজড়ি রোধ করতে। তিনি সাইকেল থেকে নেমেছেন কিন্তু প্যান্টে ক্লিপটি তখনও আঁটা, তাই তাঁকে দেখাচ্ছে অনেকটা শিকারির মতো। তিনিও এসেছেন আজ কৌতূহলী হয়ে। তিনি এবং আরো সবাই ডাক্তারবাবুর কাছে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে তাকিয়ে, কী করে গন্ডার এলো হঠাৎ করে। আমরাও বড়োদের পিছনে দঁাড়িয়েছি গিয়ে। ডাক্তারবাবু বলছিলেন, মনে হয় বয়স হয়েছে এর, দাঁতগুলো লক্ষ করুন। বেশ ক্ষয়ে গেছে, মনে হয় চোখে ভালো দেখছিল না, পথ হারিয়ে এসে পড়েছে।
সেদিন দুই বাগানের বড়সাহেব, ছোটসাহেব সবাই একে একে এসেছিলেন গন্ডারদর্শনে। সবশেষে বাবা বাগানের মহিলাদের নিয়ে একটা ট্রাকটারে ট্রেলার জুড়ে এসে হাজির হয়েছিলেন। ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট বাবা দেখতেন, তাই মহিলাদের গাড়ি সংক্রান্ত সব আবদার রাখতে হত বাবার কাছে। তারমধ্যে অন্যতম ছিল সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্যে গাড়ির বায়না। আজ নিশ্চয়ই তাঁদের আবদারেই এই ব্যবস্থা। আমি তাকিয়ে দেখে নিলাম মা এসেছেন কিনা। এর দু’তিন দিন পরে দাদা একদিন খবর দিয়েছিল, জানিস তো গন্ডারটা মারা গেছে। ডাক্তারজ্যেঠু ঠিকই বলেছিলেন, ওর বয়েস হয়েছিল। (সমাপ্ত)
অপূর্ব দাশগুপ্ত: ‘পুরোগামী’ পত্রিকার অন্যতম সম্পাদক। প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের অবসরপাপ্ত বিশেষ রাজস্ব কর্মকর্তা।
সূত্র: বাংলালাইভ.কম