Home First Lead চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম, আসছে ১০০ চীনা বিনিয়োগকারী

চীনে যাচ্ছে বাংলাদেশের আম, আসছে ১০০ চীনা বিনিয়োগকারী

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানির প্রথম চালান যাচ্ছে আগামী ২৮ মে বুধবার। এই চালানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের বাজারে পা রাখছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় মৌসুমি ফল। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি গেটে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

এই রপ্তানি কার্যক্রমকে ঘিরে চীনে বাংলাদেশি কৃষিপণ্যের চাহিদা নিয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আমের পাশাপাশি বাংলাদেশের কাঁঠাল ও পেয়ারা রপ্তানির প্রস্তুতিও এগিয়ে চলেছে। চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সম্প্রতি এক আলোচনায় জানিয়েছেন, “আমরা আশা করি বাংলাদেশ শিগগিরই চীনে ইলিশ মাছও রপ্তানি করতে পারবে। চীনা খাদ্যপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে এই সুস্বাদু মাছের অপেক্ষায় রয়েছেন।”

চীনের বাজারে কৃষিপণ্যের প্রবেশ বাংলাদেশের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা করছে। শুধু কৃষিপণ্যই নয়, সামগ্রিকভাবে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কও নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই আগামী ৩১ মে ঢাকায় আসছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।

দুই দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা পর্যালোচনা করবেন এবং সম্ভাব্য খাতগুলোতে চীনা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ জানাবেন। চীনের এ বাণিজ্যমন্ত্রীর সফর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ তার সঙ্গে আসছে ১০০ জনেরও বেশি চীনা ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীর বিশাল প্রতিনিধি দল।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত এ প্রতিনিধিদলকে ‘চীন থেকে বাংলাদেশে আসা সর্ববৃহৎ ব্যবসায়িক দল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তার ভাষায়, “এটি উন্মুক্ততা, সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সুবিধার একটি জোরালো বার্তা বহন করবে।”

ঢাকায় অবস্থানকালে মন্ত্রী ওয়েনতাও বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের পাশাপাশি বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্যমান থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্ক নতুন গতি পেয়েছে। চীন এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজারগুলোর একটি হতে চলেছে, বিশেষ করে কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রে। আম রপ্তানির এই উদ্যোগ সফল হলে অন্য ফলমূল এবং সামুদ্রিক পণ্যের দ্বারও খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীন বাংলাদেশের পুরোনো বন্ধু। কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীন মাথা ঘামায় না। চীন বাণিজ্য-বিনিয়োগ ইস্যুতেই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের পর বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ একাধিক খাতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নেতিবাচক আচরণ প্রকাশ পায়। এমন পরিস্থিতিতে চীন তাদের ৪টি বিশেষ হাসপাতাল বাংলাদেশিদের জন্য বরাদ্দ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ঢাকার পূর্বাচলে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং চট্টগ্রামে একটি বিশেষ বার্ন ইউনিট তৈরির কথা জানিয়েছে চীন। বাংলাদেশের সড়ক, রেলপথ ও জনপদ উন্নয়ন, পাওয়ার গ্রিডস, টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক, ক্লিন এনার্জি, ডিজিটাল ইকোনমি, কৃষি, উৎপাদনমুখী কারখানা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। মোংলা বন্দর আধুনিকরণ প্রকল্পেও সহযোগিতা করতে চায় চীন।

📣 পাঠকের প্রতি আহ্বান (CTA):
চীনসহ বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের বিস্তার, নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক ও বিনিয়োগ সংবাদ জানতে চোখ রাখুন বিজনেসটুডে২৪.কম-এ।
✅ বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের সাফল্য জানতে নিয়মিত ভিজিট করুন
📱 ফলো করুন আমাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
✍️ আপনার এলাকার কৃষিপণ্যের গল্প পাঠাতে ইনবক্স করুন। আমরা পৌঁছে দেব জাতীয় পাঠকের কাছে!