Home First Lead ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

ডাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা

ভিপি আবিদুল, জিএস তানভীর

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে অপরাজেয় বাংলার সামনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেন।

ঘোষিত তালিকায় ভিপি পদে রয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান। জিএস পদে মনোনয়ন পেয়েছেন কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর বারী হামিম। এজিএস পদে রয়েছেন তানভীর হাদি আল মায়েদ

সম্পাদকীয় পদে ছাত্রদলের মনোনয়নপ্রাপ্তরা

মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ্ (সাইফ), সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক মো. আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান মুন্না।

তবে বিশেষ দৃষ্টান্ত হিসেবে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদটি শূন্য রাখা হয়েছে। সম্প্রতি আন্দোলনে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ছাত্রদল কর্মী সানজিদা আহমেদ তন্বীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ পদে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীরা

মো. জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, মো. হাসিবুর রহমান সাকিব, মো. শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, সামসুল হক আনান ও নিত্যানন্দ পাল।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বিশ্লেষণ

দীর্ঘ বিরতির পর ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আবারো আলোচনায় এসেছে ছাত্ররাজনীতি। ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা তাদের সাংগঠনিক সক্রিয়তা ও পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষত ভিপি ও জিএস পদে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব তুলে ধরা ছাত্রদলের জন্য কৌশলগত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ছাত্রদল এবার প্যানেল ঘোষণায় নারী প্রার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা সংগঠনের অন্তর্ভুক্তিমূলক বার্তাকে জোরালো করেছে। পাশাপাশি প্রয়াত কর্মীর সম্মানে একটি পদ খালি রাখা ছাত্রদলের আবেগীয় ও রাজনৈতিক কৌশল উভয় দিক থেকেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত করা হলেও ছাত্রদল একক প্রার্থী হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মনোভাব দেখিয়েছে। এটি তাদের আত্মবিশ্বাসী অবস্থানকে ইঙ্গিত করে। তবে নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা এবং ছাত্রলীগের শক্তিশালী উপস্থিতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাই হবে ছাত্রদলের বড় চ্যালেঞ্জ।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদল যদি উল্লেখযোগ্য ফলাফল অর্জন করতে পারে, তবে তা জাতীয় রাজনীতিতেও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করবে।