Home Second Lead জাহাঙ্গীরনগরে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানাল সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল

জাহাঙ্গীরনগরে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানাল সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেল

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের সদস্যরা। ছবি সংগৃহীত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেল

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী স্মরণ এহসান। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে হচ্ছে না। আমরা এই নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা জানাচ্ছি। শুরু থেকেই তারা আমাদের আস্থা ও ভরসার জায়গা নষ্ট করেছে।”

অনিয়ম ও অভিযোগ

স্মরণ এহসান অভিযোগ করেন, ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই নানা অসঙ্গতি ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ দেখা গেছে। তাঁর দাবি—

  • সম্প্রীতির ঐক্যের ভিপি প্রার্থী অমর্ত রায়ের প্রার্থিতা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাতিল করা হয়।
  • ডোপ টেস্ট ইস্যুতে অনিয়ম হয়েছে; অনেকে ডোপ টেস্ট না করেও প্রার্থী হয়েছেন, অথচ নির্বাচন কমিশন নীরব থেকেছে।
  • বুধবার রাত ২টার পর জানানো হয় পোলিং এজেন্ট রাখা যাবে, কিন্তু সকালে হলে গেলে তাঁদের হেনস্তা করা হয় এবং অনেক কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
  • রোকেয়া হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, ১০ নম্বর ছাত্র হলসহ বিভিন্ন হলে পোলিং এজেন্টদের দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা হয়।
  • অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়নি।
  • প্রশাসন যে এলইডি স্ক্রিনে ভোটগ্রহণ সরাসরি সম্প্রচারের কথা বলেছিল, সেগুলো দীর্ঘ সময় বিকল ছিল।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা নির্বাচনের স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এবং শিক্ষার্থীদের আস্থা নষ্ট করেছে।

শিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্মরণ এহসান আরও দাবি করেন, প্রায় প্রতিটি হলে ছাত্রশিবির সমর্থকরা নিজেদের প্রার্থীর নাম লিখিত চিরকুট বিতরণ করেছে। জাহানার হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নজরুল হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে সব প্রার্থীর নাম ব্যালটে না থাকায় পরে হাতে লিখে নাম যুক্ত করার অভিযোগও তোলেন তিনি।

প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

প্যানেলের সহকারী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারিয়া জামান নিকি বলেন, সকালে বিভিন্ন হলে পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত দেখানো হয়েছে। কোথাও প্রার্থীর স্বাক্ষর, কোথাও ছবি, আবার কোথাও মাত্র একজন এজেন্ট রাখার শর্ত চাপানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রশাসনের এসব পরস্পরবিরোধী নির্দেশনা স্বচ্ছ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

হতাশা ও ক্ষোভ

স্মরণ এহসান বলেন, “আজকের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যে অনিয়ম, অসচ্ছতা ও অপরিকল্পনা দেখা গেছে, তা নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ব্যর্থতা। আমরা গভীরভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ।”