বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:
নতুন প্রজন্মের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে ‘মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্তের লক্ষ্যে তারুণ্যের প্রত্যয়’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব শাখা ‘জাতীয় যুবশক্তি’। রাজধানীর গুলিস্তানে আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউতে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নবগঠিত সংগঠনের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম। সদস্য সচিব করা হয়েছে চিকিৎসক জাহিদুল ইসলামকে। অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটির নেতৃত্ব ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেলকে জাতীয় যুবশক্তির মুখ্য সংগঠক হিসেবে মনোনীত করা হয়। সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি হবে মোট ১৩১ সদস্যের, যা পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশ করা হবে।
অনুষ্ঠানটি শুরু হয় বিকেলে জাতীয় সংগীত ও পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে। এরপর মঞ্চে প্রচার করা হয় জুলাই মাসে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের প্রামাণ্যচিত্র। সেই সময়ের বিভিন্ন স্লোগান, প্রতিবাদী গানের মাধ্যমে তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনের চেতনা ও আত্মত্যাগের স্মৃতি। আয়োজনজুড়ে ছিল আবেগঘন পরিবেশ, যেখানে উপস্থিত প্রতিটি তরুণের চোখেমুখে ফুটে উঠেছিল একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।
নতুন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে যারা এসেছেন, তারা মূলত উচ্চশিক্ষিত, পেশাগতভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জাতীয় মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন মনোভাব পোষণ করেন বলে জানান আয়োজকরা। তারা আরও জানান, জাতীয় যুবশক্তি হবে সেই প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে উঠে আসবে ভবিষ্যতের নেতৃত্ব। যারা দেশের সকল বৈষম্য, নিপীড়ন ও রাজনৈতিক অস্থিরতার বিরুদ্ধে তারুণ্যের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা উপস্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারুণ্য রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু বর্তমানে তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নতুন সংগঠনের মাধ্যমে সেই তারুণ্যের শক্তিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। ‘জাতীয় যুবশক্তি’ বিশ্বাস করে, রাজনীতি মানে শুধু ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বরং ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তরুণদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নতুন এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমান সময়ে একটি বিকল্প ও অরাজনৈতিক শক্তি প্রয়োজন, যারা গণতন্ত্র ও সামাজিক সুবিচারের প্রশ্নে আপসহীন থাকবে। সেই প্রত্যাশাই এখন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র উপর।










