Home চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় সেই আকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে নারীকে লাথির ঘটনায় সেই আকাশ চৌধুরী গ্রেপ্তার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে নারীর প্রতি সহিংস আচরণের ঘটনায় আলোচনায় আসা আকাশ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১ জুন) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

গ্রেপ্তারকৃত আকাশ চৌধুরী চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কর্মী।

গত ২৮ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জামালখান এলাকায় মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাতিলের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট একটি কর্মসূচির আয়োজন করে। সেখানে ‘এন্টি শাহবাগ মুভমেন্ট’ ব্যানারে সংঘবদ্ধ একদল লোক হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হন।

ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলার সঙ্গে জড়িত আকাশ চৌধুরীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।

সামাজিক মাধ্যমে ওই হামলার একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা গেছে, আকাশ চৌধুরী এক নারীকে লাথি মারছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে জামায়াতে ইসলামী। দলটি এক বিবৃতিতে আকাশ চৌধুরীকে তাদের কর্মী হিসেবে স্বীকার করে এবং তাকে বহিষ্কারের কথা জানায়।

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ উল্লাহর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশ চৌধুরীর আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও ঘৃণ্য। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার দায় জামায়াতের নয় বলেও বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দলটি আরও জানায়, কর্মসূচির বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না, এবং আকাশ চৌধুরী যেভাবে আচরণ করেছে, তা দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই হয়েছে।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি স্থানে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ ব্যানারে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে।