স্পোর্টস ডেস্ক: কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের নারী বিশ্বকাপ মিশন দুর্দান্ত জয় দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশ। দুর্বল ব্যাটিংয়ে ১২৯ রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে ৭ উইকেট হাতে রেখে অনায়াসে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা। তবে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দলটি। ম্যাচের প্রথম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে বাংলাদেশের তরুণ পেসার মারুফা আক্তারের ডাবল আঘাতে সাজঘরে ফেরেন ওমাইমা সোহেল (০) ও ইনফর্ম ব্যাটার সিদরা আমিন (০)। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধাক্কা সামলাতে না পেরে পাকিস্তান আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ একের পর এক ভেঙে পড়তে থাকে। রামিন শামীম (২৩) ও অধিনায়ক ফাতিমা সানা (২২) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত শর্ণা আক্তারের দুর্দান্ত লেগস্পিনে ৩.৩ ওভারে ৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে ৩৮.৩ ওভারে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশ বোলাররা। পাকিস্তানের ইনিংসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ২৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে মারুফা আক্তার নেন ২ উইকেট, নাহিদা আক্তার ২টি, শর্ণা আক্তার অসাধারণ বোলিং করে ৩ উইকেট তুলে নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৫ রানে ২ উইকেট হারালেও ওপেনার রুবিয়া হায়দার অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তিনি অপরাজিত ৫৪ রানে ম্যাচ শেষ করেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা (২৩) এবং শেষ দিকে সোবহানা মুস্তারী (২৪*) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
৩১.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ফলে নারী বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দারুণ জয় তুলে নেয় টাইগ্রেসরা।
ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার মারুফা আক্তার, যিনি শুরুতেই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন।
ম্যাচ শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানা স্বীকার করেন, শুরুতেই উইকেট হারানোই তাদের ভোগান্তির মূল কারণ। “প্রথম দুই বলে দুই ব্যাটার হারানোই আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের আরও দৃঢ়ভাবে খেলতে হবে,” বলেন তিনি।
আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে নামবে পাকিস্তান। অন্যদিকে বাংলাদেশ এই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে এগিয়ে যাবে।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মারুফা আক্তার