বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার এক সরকারি বিবৃতিতে এই ঘটনাকে “বর্বরোচিত আক্রমণ” হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয়, শুধু নুরুল হক নুরের ওপর নয়, বরং এ হামলা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনার ওপরও আঘাত হেনেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, জুলাই আন্দোলনের অগ্রগামী নেতা এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জনগণের অধিকার আদায়ের অবিচল সংগ্রামী নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় জাতি ক্ষুব্ধ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশবাসীকে আশ্বস্ত করছে যে, দ্রুততম সময়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করা হবে। প্রভাবশালী যেই হোক না কেন, জড়িত কেউই জবাবদিহিতা থেকে রেহাই পাবে না। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে দ্রুত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
হামলায় আহত নুরুল হক নুর ও তার সহকর্মীদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশেও পাঠানো হবে। আহত নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা ও সংহতি জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন নুরুল হক নুর। তিনি ছাত্রনেতা হিসেবে তরুণ সমাজকে একত্র করেছিলেন এবং নির্ভীকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। জুলাই আন্দোলনের সময় গ্রেফতার হয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও তার ভূমিকা স্বাধীন, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে ওঠে। সরকারের মতে, নুরের সাহস ও আত্মত্যাগ জাতির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই ঐক্যই জনগণের ম্যান্ডেটবিরোধী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং গণতন্ত্রে সফল উত্তরণ নিশ্চিত করবে।
সবশেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুনর্ব্যক্ত করে জানায়, জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে নির্বাচন বিলম্বিত বা ব্যাহত করার যে কোনো ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কোনো অশুভ শক্তি গণতন্ত্রের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।