আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনী মঙ্গলবার ৭৫০ কিলোমিটার পাল্লার নতুনভাবে যুক্ত ক্রুজ মিসাইল ‘ফাতাহ-৪’ সফলভাবে প্রশিক্ষণ উৎক্ষেপণ করেছে। সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও সর্বাধুনিক নেভিগেশন সিস্টেম সমৃদ্ধ ফাতাহ-৪ শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। ভূখণ্ড অনুসরণী প্রযুক্তি (terrain hugging features) থাকায় এটি উচ্চ নিখুঁততায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ডের অংশ হিসেবে ফাতাহ-৪ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার পৌঁছ, ধ্বংসক্ষমতা ও টিকে থাকার ক্ষমতা বহুগুণে বাড়াবে।
A successful training launch of newly inducted indigenously developed Fatah-4, Ground Launched Cruise Missile was conducted today by Pakistan Army at a range of 750 Kilometers. Equipped with advanced avionics and state of the art navigational aids, this weapon system is capable… pic.twitter.com/MsZBmhLMsS
— PTV News (@PTVNewsOfficial) September 30, 2025
উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা।
রাষ্ট্র ও সরকারের অভিনন্দন
ফাতাহ-৪ এর সফল উৎক্ষেপণের পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান ও তিন বাহিনীর প্রধানরা সংশ্লিষ্ট সৈনিক, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, “ফাতাহ-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এক মাইলফলক।”
রাষ্ট্রপতি জারদারি বলেন, দেশীয়ভাবে তৈরি আধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের বৈজ্ঞানিক স্বনির্ভরতার প্রমাণ। তিনি আরও বলেন, ফাতাহ-৪ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা অটুট ছিল এবং ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে। “জাতি তাদের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমে গর্বিত,” যোগ করেন তিনি।
নতুন রকেট ফোর্স কমান্ড
উল্লেখ্য, গত মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নতুন করে ‘আর্মি রকেট ফোর্স কমান্ড’ চালু করেছে, যার লক্ষ্য দীর্ঘপাল্লার প্রচলিত হামলক্ষমতা তৈরি করা। এর মাধ্যমে ভারতকে মোকাবিলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আরও কৌশলগত সুবিধা পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বছরের মে মাসে পাকিস্তান ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফাতাহ সিরিজ’ সারফেস-টু-সারফেস মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে, যা ‘এক্স ইন্দুস’ মহড়ার অংশ ছিল।