শুক্রবার (১৫ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা সংস্থা (এজেন্সি কাওয়ালান পেরসেকিতারান সেমপাদান– একেপিএস) জানায়, কেএলআইএ টার্মিনাল-১ এ রাত ১টা থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১৮১ জন যাত্রীর কাগজপত্র যাচাই করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা যায়, এর মধ্যে ৯৮ জন বাংলাদেশির প্রয়োজনীয় ভ্রমণ ডকুমেন্টস নেই। ফলে তাদের ‘নো টু ল্যান্ড’ নোটিশ দিয়ে মালয়েশিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, আটকে পড়া যাত্রীরা বাংলাদেশ থেকে ভোরের একটি ফ্লাইটে এসেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, দিনের বেলায় কড়াকড়ি তল্লাশি এড়াতেই তারা ভোরের ফ্লাইট বেছে নিয়েছিলেন।
তদন্তে উঠে আসে, আটক বাংলাদেশিদের অনেকে ভুয়া হোটেল বুকিং দেখিয়েছেন, কারও কাছে রিটার্ন টিকিট ছিল না। আবার অনেকেই প্রমাণ দিতে পারেননি যে তাদের কাছে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। এসব কারণেই তাদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় সম্প্রতি বারবার বাংলাদেশি যাত্রীদের ফেরত পাঠানোর ঘটনা বাড়ছে। দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, পর্যটক বা কর্মসংস্থানের ভিসায় প্রবেশ করতে চাইলে ভ্রমণকারীর বৈধ নথিপত্র ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক। এর ব্যত্যয় ঘটলেই তাদের প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে না।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, মালয়েশিয়ায় প্রবেশের আগে যাত্রীদের কাগজপত্র সঠিকভাবে যাচাই না হওয়ায় এবং অবৈধ এজেন্সির প্রতারণার শিকার হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
প্রবাসী পরিবার ও ভুক্তভোগীদের দাবি, বিমানবন্দরে প্রতিবার এমন বিপাকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য সরকারকে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
আপনার মতামত কী? এ ধরনের ঘটনার দায় কার? নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং প্রতিবেদনটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।