ফরিদুল আলম, দোহা ( কাতার): কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হয়েছে বাংলাদেশি আম মেলা ‘আল হাম্বা এক্সিবিশন’। বুধবার (২৬ জুন) ঐতিহ্যবাহী সুক ওয়াকিফ-এর ইস্টার্ন স্কয়ারে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের (PEO) প্রতিনিধি আবদুর রহমান মোহাম্মদ আল-নামা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নাজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও রাষ্ট্রদূতরা।
প্রথমবার আয়োজিত এই মেলা চলবে ১ জুলাই পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সরকারি ছুটির দিনে মেলা চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় অংশ নিয়েছেন ২০টিরও বেশি প্রদর্শক, যাঁদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পণ্য নিয়ে এসেছেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ নাজরুল ইসলাম বলেন, “এই উৎসব শুধু আম প্রদর্শন নয়, বরং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।” তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ থেকে বিশেষ ফ্লাইটে প্রতিদিন উচ্চমানের ফল আনা হচ্ছে, যা কাতারের বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।
মেলায় দর্শনার্থীরা উপভোগ করছেন বাংলাদেশের বিখ্যাত আমজাত যেমন আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাতিমন, ক্ষীরসাপাত, ফজলি, গোপালভোগ, হাড়িভাঙা, ল্যাম আম, কলা আম, হিমসাগর ও লক্ষ্মণভোগ। আম ছাড়াও রয়েছে লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারাসহ নানা রকমের ফলমূল।
প্রদর্শনীটি তত্ত্বাবধায়ক খালেদ সাইফ আল-সুয়াইদি জানান, “এই মেলা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন বাংলাদেশে আমের মৌসুম চলছে। এর লক্ষ্য হলো অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি এবং উচ্চমানের পণ্য সহজলভ্য দামে সরবরাহ নিশ্চিত করা।”
তিনি জানান, কাতারে এই প্রথমবারের মতো অনেক জাতের আম পরিচিত হচ্ছে, যা স্থানীয়দের জন্য নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা এনে দিচ্ছে। পাশাপাশি আম চারা বিক্রির প্রতিষ্ঠানগুলোও মেলায় অংশ নিচ্ছে, যা স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছে আম চাষে।
এছাড়াও মেলা প্রাঙ্গণে আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থাকায় পণ্যের সতেজতা এবং দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এই আয়োজনকে ঘিরে কাতারবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। আয়োজকেরা আশাবাদী, ভবিষ্যতে এই উৎসব আরও বড় পরিসরে আয়োজন করা হবে।
