তিনি আরও জানান, গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জুনের মধ্যে সিস্টেম লস কমিয়ে আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:চলমান গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং সীমিত রাখতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, “আমাদের উৎপাদন সক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ১৮ হাজার মেগাওয়াট। বাড়তি এলএনজি, কয়লা ও অন্যান্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় থাকবে।”
শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত ‘জ্বালানি সংকট উত্তরণের পথ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এফইআরবি’র চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর এবং সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী পরিচালক সেরাজুল ইসলাম সিরাজ।
লোডশেডিং নিয়ে ভুল তথ্য প্রচারের অভিযোগ
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, “সর্বোচ্চ লোডশেডিং হয়েছে ১৩৯ মেগাওয়াট, ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়নি। অনেকে ভুল করে ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটকেও লোডশেডিং বলছে।”
তিনি আরও জানান, গ্রাম ও শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বৈষম্য থাকবে না এবং জুনের মধ্যে সিস্টেম লস কমিয়ে আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
জ্বালানি খাতে উন্নয়ন পরিকল্পনা
ফাওজুল কবির খান জানান, বকেয়া বিল পরিশোধে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। এলএনজি আমদানি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (PPP) আওতায় করা হবে। একই সঙ্গে গ্যাস চুরির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং লাইনে লিকেজ মেরামতের কাজ চলমান আছে। তিনি বলেন, “আগামী বছর আর অতিরিক্ত বকেয়া থাকবে না, বরং ভর্তুকি কমে আসবে।”
জ্বালানি অনুসন্ধান ও নীতিমালা সংক্রান্ত আলোচনা
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিডিংয়ে কেউ অংশ নেয়নি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অনুমোদন পেলে পুনরায় টেন্ডার করা হবে।
এ সময় জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ বিইআরসির কাছে না যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “বাজার পরিস্থিতি, প্রতিবেশী দেশের দাম এবং ভর্তুকি বিবেচনায় মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়।”
গবেষকদের মতামত
সেমিনারে অংশগ্রহণকারী ক্যাবের জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের জ্বালানি সংকট কেবল কারিগরি সমস্যা নয়, বরং এটি অধিকার, সাম্য এবং সুশাসনের প্রশ্ন।” তিনি দেশকে সচেতন সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান জানান।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম নতুন জ্বালানি নীতিমালার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “এলএনজির ওপর নির্ভরতা না বাড়িয়ে দেশে নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধানে মনোযোগ দিতে হবে।”










