Home First Lead মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত, ক্যাম্পজুড়ে উত্তেজনা

মোহাম্মদপুরে ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত, ক্যাম্পজুড়ে উত্তেজনা

মোহাম্মদ জাহিদ, ছবি: পারিবারিক অ্যালবাম।

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণে মো. জাহিদ হোসেন (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর পৌনে ৪টার দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত জাহিদ জেনেভা ক্যাম্পের মৃত ইমরানের ছেলে এবং পেশায় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন।

নিহত জাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু মো. আফতাব হোসেন জানান, জাহিদ ভোর পৌনে ৪টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় হঠাৎ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় একটি ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভগ্নিপতি রবিন হোসেন উজ্জ্বল আরও বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, “জাহিদ কল্যাণপুর মিজান টাওয়ারে আমার দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতো। বৃহস্পতিবার ভোরে আযানের আগে জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি চলছিল। সে সময়ে জাহিদ বাসা থেকে বের হয়ে এগিয়ে সামনে গেলে একটি ককটেল এসে তার মাথায় পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়।”

ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ট্রমা সেন্টারে নেওয়া হয়, তবে সেখানে রাখা সম্ভব না হলে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল এবং একজন আহতকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনার কারণ নির্ধারণে তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনায় জেনেভা ক্যাম্পজুড়ে উত্তেজনা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।