Home First Lead পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতের নতুন সেনা ঘাঁটি

পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতের নতুন সেনা ঘাঁটি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদার করতে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে নতুন দুটি সামরিক স্থাপনা চালু করেছে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনী অতি অল্প সময়ের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় নতুন একটি ঘাঁটি কার্যকর করেছে, পাশাপাশি আসামের ধুবরিতে গড়ে তোলা হচ্ছে আরও একটি নতুন সেনা স্টেশন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকায় নবনির্মিত ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। এটি বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছেই অবস্থিত।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) পোস্ট করে জানায়, “লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি, আর্মি কমান্ডার ইস্টার্ন কমান্ড, চোপড়া ডিফেন্স ল্যান্ডে ব্রহ্মাস্ত্র কর্পসের মোতায়েন সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি অতি স্বল্প সময়ে ঘাঁটিটি স্থাপন ও কার্যকর করার জন্য সৈন্যদের পেশাদারিত্ব, অদম্য উৎসাহ ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি তিনি সৈন্যদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখতে ও উদীয়মান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।”

ইস্টার্ন কমান্ডের পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, “আর্মি কমান্ডার স্থানীয় এমএলএ হামিদুল রহমানসহ নাগরিক নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তিনি সেনা ও বেসামরিক প্রশাসনের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।”

এর আগে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসামের সীমান্ত এলাকায় ৪ (গজরাজ) কর্পস সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁও এলাকায় লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

ইস্টার্ন কমান্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “আহোম রাজ্যের কিংবদন্তি সেনানায়ক লাচিত বরফুকনের নামে নতুন স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। এটি সাহস, নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার প্রতীক—যা পুনর্জাগরিত আসামের ঐতিহ্যের প্রতিফলন।”

সংস্থাটি আরও জানায়, “নতুন এই সামরিক স্টেশন প্রতিষ্ঠা অঞ্চলটির সেনা সক্ষমতা ও অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

পরিদর্শনকালে লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি সীমান্ত অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি, সেনা মোতায়েনের প্রস্তুতি এবং অবকাঠামো উন্নয়নকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন।

চোপড়া ও ধুবরি—দুই এলাকাই বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় নতুন সামরিক স্থাপনা স্থাপনকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই পদক্ষেপ সীমান্ত নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে বিশ্লেষকদের মত।