বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ষোলশহর জংশন এলাকায় পড়ে আছে পরিত্যক্ত বিপুল পরিমান স্লিপার। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ধরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে খোলা আকাশের নিচে।
পরিত্যক্ত হওয়ার সাথে সাথে এগুলো নিলামে তোলা হলে কাঠ হিসেবে হলেও বিক্রি করা যেতো। তাতে রেলের আয়ে কিছু টাকা যোগ হতো। আর পরিত্যক্ত কাঠের স্লিপারগুলো জ্বালানি কাঠ হিসেবে হলেও ব্যবহার হতো। কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে এগুলো শেষ পর্যন্ত মাটির সাথে মিশে যাবে।
ষোলশহর জংশন এলাকায় একইভাবে পড়ে আছে অকেজো হয়ে যাওয়া বহু ওয়াগন । অবস্থা সেই পরিত্যক্ত স্লিপারের মত। এটা উল্লেখ করা হল নমুনা হিসেবে। কেবল ষোলশহর জংশন এলাকায় নয়, দেশের সবখানে এভাবে পড়ে পড়ে আছে অকেজো রেলসম্পদ। ওয়াগন, বগী, লোহার পাত, ইস্পাত, স্লিপার ও লোহালক্কড় খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।
প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হলেও এ ব্যাপারে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ দৃষ্টি দেয় না
রেলের লোহা লক্কড়ের প্রচুর চাহিদা বাইরে। একসময়ে এসবের নিলাম নিয়ে খুন, হাঙ্গামা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পরিত্যক্ত ও অকেজো রেল সম্পদ নিলামে বেচে দেয়া হয়। স্থানীয়ভাবে তা করা হতো। সে ব্যবস্থা আর নেই। এই বিষয়টি বর্তমানে রেল মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যস্ত। তাই যে দীর্ঘ সূত্রিতা তৈরি হয়েছে তার জেরে বাতিল রেলসম্পদ পড়ে থাকে বছরের পর বছর ধরে। এতে এগুলোর সম্পদ মূল্য আর থাকছে না। সেগুলো চুরিও হচ্ছে।
রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে নিয়মিত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অকেজো ও নিলামযোগ্য সম্পদের ব্যাপারে প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু নিস্পত্তির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা দ্রুত নিতে পারে না।
ষোলশহর জংশন এলাকায় পরিত্যক্ত রেলসম্পদের কারণে স্থানে স্থানে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এসব বিষয়ে কারও যেন কোন দায়িত্ব নেই।