Home আন্তর্জাতিক বুধবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

বুধবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস

‘মানবাধিকার আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’ প্রতিপাদ্যে পালিত হবে দিনটি

 বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র (UDHR) গৃহীত হয়। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— “হিউম্যান রাইটস: আওয়ার এভরিডে এসেনসিয়ালস” (Human Rights: Our Everyday Essentials) বা ‘মানবাধিকার: আমাদের নিত্যদিনের অপরিহার্য’।

এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। মানবাধিকার যে কেবল আইনি দলিল বা আদালতের বিষয় নয়, বরং খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো এটিও মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ—সেই বার্তাই এবার বিশ্ববাসীকে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ মনে করে, মানবাধিকার মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই জরুরি, যা ছাড়া সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন অসম্ভব।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা বিশ্বের সব মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষায় এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক, এবিএম জুবায়ের বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু হয় পরিচয়হীনতা থেকে। আইন সংস্কারের মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম জনবান্ধব করতে হবে, যাতে কোনো মানুষই পরিচয়হীন না থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, আইনি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল মৌলিক অধিকার সমানভাবে ভোগ করতে পারে

মানবাধিকার কর্মীদের বক্তব্য
দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন আলোচনা সভা, র‍্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এবারের প্রতিপাদ্য তখনই সার্থক হবে, যখন দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সাংবিধানিক অধিকার বিনা বাধায় ভোগ করতে পারবে। বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নারী নির্যাতন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত বন্ধ করার দাবিও জোরালোভাবে উঠে আসবে আগামীকালের কর্মসূচিতে। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধন ও সমাবেশ করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও প্রশাসনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হবে।

জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে যুদ্ধ, সংঘাত ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকার চরম ঝুঁকির মুখে। তাই মানবাধিকারকে ‘নিত্যদিনের অপরিহার্য’ হিসেবে গণ্য করে এর সুরক্ষায় বিশ্বনেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানানো হবে এই দিনে।