বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: সাতটি বিয়ে করে দেশজুড়ে আলোচিত কুষ্টিয়ার রবিজুল ইসলাম এবার ধরা পড়লেন মানব পাচারের মামলায়। রোববার সকালে খোকসা উপজেলা থেকে তাকে আটক করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার বাসিন্দা রবিজুল একসময় দীর্ঘ ১৫ বছর লিবিয়ায় ছিলেন। দেশে ফেরার পর স্থানীয়ভাবে পরিচিতি পান সাতটি বিয়ে করার কারণে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে সাত স্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
সাত স্ত্রী হলেন: কুষ্টিয়ার হালসা গ্রামের রুবিনা খাতুন (৩৫), গোস্বামী দুর্গাপুরের মিতা আক্তার (২৫), কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন (৩০), রাজশাহীর নুরুন নাহার (২৫), চুয়াডাঙ্গার স্বপ্না (৩০), বানু আক্তার (৩৫) ও মিরপুর উপজেলার রিতা আক্তার (২০)। প্রত্যেক বিয়েই তিনি করেছেন আগের স্ত্রীর সম্মতিতে, খোলামেলা আলোচনার পর।
তবে রবিজুলের আরেক পরিচয় এখন সামনে এসেছে তিনি মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে পুলিশের দাবি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে অন্তত ছয়টি মানব পাচারের মামলা রয়েছে। থানায় এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সোমবার আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ড আবেদন করা হবে।
পুলিশ বলছে, লিবিয়ায় থাকার সময় এবং দেশে ফিরে এসে রবিজুল এলাকার তরুণদের বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রতারণা করতেন। এই চক্র লিবিয়ায় অবস্থানরত তরুণদের দুর্দশার ভিডিও পাঠিয়ে পরিবার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করত।
কুষ্টিয়াসহ আশপাশের এলাকায় রবিজুলকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছিল, বিশেষ করে তার একসঙ্গে সাত স্ত্রীর সঙ্গে সহাবস্থানের কারণে। তবে মানব পাচারের মতো ভয়াবহ অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখন তাকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের অন্যান্য সদস্যদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।