বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হওয়া এ ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে অর্থনীতি, নির্বাচন, শুল্ক, রোহিঙ্গা সংকট এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ফোনালাপটি প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আলোচনাকে উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরও এক বিবৃতিতে ফোনালাপের বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের বরাত দিয়ে জানানো হয়, রুবিও এবং ইউনূস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, গণতন্ত্রে উত্তরণ প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের নির্বাচন আয়োজন ও চলমান রাজনৈতিক সংলাপের প্রশংসা করেন।
ফোনালাপে ড. ইউনূস জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বর্তমানে ওয়াশিংটনে রয়েছেন এবং সেখানকার বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক স্থগিত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য কর্মসূচির প্রতি কার্যকর সাড়া দেওয়ার জন্য একটি সমন্বিত প্যাকেজ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ।
ড. ইউনূস বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে, যা পূর্ববর্তী সরকারের সময় ভেঙে পড়েছিল। এবারের নির্বাচনে বহু তরুণ প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।”
রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি বাস্তবসম্মত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।”
আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে দুই নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কও আলোচনায় উঠে আসে।
ফোনালাপের শেষভাগে ড. ইউনূস মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, “আপনার সফর আমাদের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে আন্তর্জাতিক আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে।”
CTA (ছোট)
📞 গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ফোনালাপ | নির্বাচন ও বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-ঢাকা
📲 বিস্তারিত পড়ুন বিজনেসটুডে২৪.কম এ
📢 আপনার মতামত গুরুত্বপূর্ণ!
এই ফোনালাপ বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের পথে কী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন আপনি?
💬 নিচে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত।
🔁 প্রতিবেদনটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন—জনগণের অংশগ্রহণই গণতন্ত্রের শক্তি!