বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
খুলনা: তেরখাদায় যমজ দু’বোনের মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। মা তাদেরকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন। হত্যার অভিযোগে মা কানিজ ফাতেমা কণাকে আটক করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তেরখাদা থানার এসআই মো. এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, , চার বছর আগে তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের খোরশেদের মেয়ের সঙ্গে মোল্লারহাট উপজেলার মাতারচর গ্রামের মোল্লা আবু বক্কারের ছেলে মাসুম বিল্লাহর বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছরের মাথায় ফাতেমা অন্তঃসত্ত্বা হন। তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বাবার বাড়িতে ।
‘সন্তান জন্মের পর থেকে গত দু’মাস ১১ দিন বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি। বাচ্চা দু’টি অনেক কান্নাকাটি করত। এ বিষয়ে কণা স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বলা হয়, আগামী মাসে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু এর আগে যমজ শিশুকে হত্যা করেন কণা।’
পুলিশ জানায়, মনি ও মুক্তা রাতে কান্নাকাটি করছিল। প্রথমে কণা তাদের দুধ খাওয়ায়। এরপরও তারা থামছিল না। রাত আড়াইটার দিকে বাচ্চা দু’টির মুখে চড় মারেন কণা। পরবর্তীতে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর বাচ্চা দু’টিকে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। ঘরে ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। যেন বিষয়টি কেউ আঁচ করতে না পারে সেই জন্য ঠিক এর দুই ঘণ্টা অর্থাৎ রাত চারটার দিকে ঘুম থেকে উঠে চিৎকার করেন তিনি। পাড়ার লোকজন তাদের বাড়িতে জড়ো হয়। এরপর সবাই যমজ শিশুদের খোঁজ নিতে থাকেন।’
সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে দু’জনের লাশ উদ্ধার করেন নানি শরিফা খাতুন ও মামা নুর আলম। কণা, তার বাবা ও মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেওয়া হয়। ‘জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কণা অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন এবং কণা যমজ শিশু হত্যার কারণ পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা করেন।
অপর দু’জনকে ছেড়ে দেয়া হয়। যমজ শিশু হত্যার দায়ে শুক্রবার রাতে বাবা মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।’