Home Second Lead নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্য: লন্ডন বৈঠকের পর খলিল-খসরুর বার্তা

নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্য: লন্ডন বৈঠকের পর খলিল-খসরুর বার্তা

সংগৃহীত ছবি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলের কনফারেন্স হলে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বহুল আলোচিত মুহূর্ত। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুখোমুখি বৈঠক হয় সেখানে। প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার পর উভয়পক্ষের প্রতিনিধিরা একযোগে জানালেন, তাঁরা সন্তুষ্ট।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় আয়োজিত হয় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৈঠকটি কি শুধুই নির্বাচনের সময়সূচি ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে, নাকি আরও বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এই প্রশ্নে সাংবাদিকদের জবাব দেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, সব বিষয়ে আলোচনা তো হবে, স্বাভাবিক। আমরা তো নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। সবাই আমরা চাই, দেশ গড়ার যে প্রত্যয় আমরা নিয়েছি, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই কাজটা করব।

তিনি আরও জানান, এই ঐক্যমতের পরিধি শুধু নির্বাচনের আগেই সীমাবদ্ধ নয়, নির্বাচনের পরও তা বহাল থাকবে। তাঁর কথায়, বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে আমরা সবাই ঐকমত্যে এসেছি, শুধু নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও সেটা আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

এ সময় আরও একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন আসে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে। সাংবাদিকরা জানতে চান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন, তাঁর দেশে ফেরার কোনো আলোচনা কি হয়েছে। জবাবে আমীর খসরু বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমরা মনে করি না। তারেক রহমান সাহেব যখনই ইচ্ছা দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সুতরাং এটার সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন, সময়মতো।

সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে এক সাংবাদিকের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, আপনারা কি সন্তুষ্ট। প্রশ্নটি শুনেই দুজন নেতা একসঙ্গে বলেন, নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট।
এরপর আমীর খসরু বলেন, আমরা তো বলছি, নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরও নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
খলিলুর রহমান যুক্ত করেন, সন্তুষ্ট না হলে তো যৌথ ঘোষণা আসার কথা নয়।

এই বৈঠক এবং পরবর্তী প্রতিক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি সম্ভাব্য মোড় ঘোরানো ইঙ্গিত হিসেবেই বিশ্লেষিত হচ্ছে। শুধু নির্বাচনের সময় নয়, বরং একটি বিস্তৃত ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের কথাও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে আলোচনায়।