বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে ফের এক চাঞ্চল্যকর কেলেঙ্কারি! সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর এবং পরিচালক রাহুল শর্মা-এর একটি ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিজুড়ে উত্তাল আলোচনা। ভিডিওটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়ে, এবং নেটদুনিয়ায় সৃষ্টি করে অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা।
অভিনেত্রী শ্রদ্ধার ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এটি একটি ‘পুরনো এবং ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা ভিডিও’। তিনি জানান, “ব্যক্তিগত মুহূর্তের এমনভাবে ফাঁস হওয়া একজন নারীর প্রতি চরম অনৈতিক আচরণ। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।” অন্যদিকে পরিচালক রাহুল শর্মা এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি।
ভিডিওটি ফাঁসের পেছনে কারা রয়েছে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁস করা হয়েছে শ্রদ্ধার আসন্ন একটি সিনেমা বন্ধ করার ষড়যন্ত্র হিসেবে। অন্যদিকে কিছু মহলের দাবি, দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে আগেও কানাঘুষো চলছিল।
এদিকে বলিউডের একাংশ এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়া এবং তার ভিত্তিতে চরিত্রহননের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। অভিনেত্রী দিয়া মির্জা বলেন, “আমরা সবাই মানুষ। এই ধরনের আক্রমণ শুধু একজন নারীর সম্মানহানিই নয়, বরং শিল্পী সমাজের প্রতিও অসম্মান।”
প্রসঙ্গত, বলিউডে এটাই প্রথম নয়—এর আগেও বহু তারকা ব্যক্তিগত ভিডিও, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট কিংবা গোপন তথ্য ফাঁসের মুখে পড়েছেন। প্রতিবারই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব কনটেন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়ন্ত্রণে আনাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে।
বর্তমানে মুম্বাই পুলিশ সাইবার ইউনিট তদন্ত শুরু করেছে। প্রযুক্তিগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভিডিওটি কোথা থেকে ফাঁস হয়েছে এবং কারা প্রথম তা আপলোড করেছে।
শ্রদ্ধা ও রাহুল উভয়ের পক্ষ থেকেই অনুরোধ জানানো হয়েছে ভিডিওটি আর না ছড়াতে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি সম্মান দেখাতে।
ভিডিওর কনটেন্ট নিয়ে যা জানা যাচ্ছে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া শ্রদ্ধা কাপুর ও রাহুল শর্মা-র কথিত ভিডিওটির স্থায়িত্ব প্রায় ১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড। ভিডিওটি একটি বদ্ধ ঘরে গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেখানে শ্রদ্ধা ও রাহুলকে একটি ব্যক্তিগত মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে, যা দেখে তাদের সম্পর্ক নিছক পেশাদার নয় এমন অনুমান করছেন অনেকে।
ভিডিওতে যা দেখা গেছে:
- দুজনকে একটি ক্যাজুয়াল পরিবেশে, ঘনিষ্ঠভাবে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে।
- কোনও দৃশ্যই সরাসরি অশ্লীল নয়, তবে ব্যক্তিগত মুহূর্ত এবং দেহভঙ্গিমা থেকে অনেকেই অনুমান করছেন, তারা একটি প্রেমঘন পরিবেশে ছিলেন।
- শ্রদ্ধার মুখ পরিষ্কার দেখা গেলেও রাহুলের মুখ বেশিরভাগ সময় আড়ালেই থাকে।
- দুজনের মধ্যে কিছু সংলাপও শোনা যায়, তবে অডিও অস্পষ্ট। কেউ কেউ বলছেন, এটি ভুয়া ভিডিও এবং প্রযুক্তিগতভাবে এডিট করা হতে পারে।
অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক ও অনলাইন তদন্তকারীর ধারণা, এই ভিডিওটি এআই ডিপফেকের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কারণ মুখের কিছু ভঙ্গিমা অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক ফরেনসিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় ভিডিওটি সত্যিকারের নাকি সম্পাদিত।
