সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি
চট্টগ্রাম: বিশ্ব স্মরণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে রোড ক্র্যাশে নিহত ও আহতদের স্মরণে চট্টগ্রামে মানববন্ধন হয়েছে। “সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাও, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিতে” এই স্লোগানে আয়োজিত মানববন্ধনটি হয় মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে নগরীর জিইসি কনভেনশন হলের সামনে।
মানববন্ধনের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ-চট্টগ্রাম এবং কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব চট্টগ্রাম। পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মুহাম্মদ মুসা খানের সভাপতিত্বে এবং আইএসডিই’র কর্মসূচি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, নারী অধিকার কর্মী ও ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মানবাধিকার কর্মী রোটারিয়ান এস এম আজিজ, ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম, উন্নয়ন কর্মী ইয়াছিন মঞ্জু, সুবজের যাত্রার নির্বাহী পরিচালক সায়েরা বেগম, প্রত্যয় সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম, বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যাণ সংস্থার সদস্য আকতার হোসেন রানা, যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, সদস্য ফয়েজ আহমদ, করিমুল ইসলাম ও মো. সালমান রশীদ অভি প্রমুখ। দিবসের ধারণাপত্র পাঠ করেন রাসেল উদ্দীন।
বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী রোড ক্র্যাশে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা প্রতি বছরই বাড়ছে, যা অসংখ্য মানুষের পরিবারে স্থায়ী শোক, আর্থিক ক্ষতি ও দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। তারা আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর উদ্ধারকাজে নিয়োজিত জরুরি সেবাকর্মী, পুলিশ এবং চিকিৎসাকর্মীরা প্রতিদিন দুর্ঘটনার ভয়াবহতার মুখোমুখি হন। রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে কার্যকর নীতি ও শক্তিশালী আইনি কাঠামো জরুরি হলেও দেশে এখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সড়ক নিরাপত্তা আইন নেই।
বক্তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের আলোকে দ্রুত একটি সময়োপযোগী ও সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানান। পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের ইশতেহারে রোড সেফটি ইস্যুটি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছর বিশ্বে ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ রোড ক্র্যাশের শিকার হন এবং এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরও শত শত মিলিয়ন আহতের ঘটনা। এটি এক ধরনের বৈশ্বিক মহামারি, যা বিশেষ করে তরুণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। আহত বা পঙ্গু হয়ে যাওয়া মানুষের দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগের পাশাপাশি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারও আজীবন মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির শিকার হন। বিশ্বের দেশগুলো ২০২১-২০৩০ কর্মদশকে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর যে লক্ষ্য নিয়েছে, তা বাস্তবায়নে সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় রবিবার “রোড ক্র্যাশে হতাহতদের স্মরণ দিবস” বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য ছিল “মনে রেখো, সমর্থন করো, কাজ করো” যা দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণ, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এবং বৈশ্বিক সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি










