বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ফেনী: ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির অভিযোগে দায়ের মামলায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি ওসি সাইফুল ইসলামকে আরো চার দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
রবিবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মনির হোসেন। শুনানি শেষে ফেনীর সিনিয়র সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার দুপুরে শুনানি শেষে গ্রেপ্তার ডিবি ওসি সাইফুল ইসলামকে চার দিন ও এসআই মোতাহের হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই নুরুল হক এবং এএসআই অভিজিৎ রায় ও এএসআই মাসুদ রানাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ খান।
শনিবার দুপুরে ডিবি ওসি ছাড়া বাকি পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে ফের তিন দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
এদিকে রবিবার সকালে মামলার অধিক তদন্তের জন্য ডাতির মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে। পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে মামলাটি হস্তান্তর করেন জেলা পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরন্নবী। মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলমকে। তিনি আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের ২০টি স্বর্ণের বার ডাকাতির মামলায় গত ১০ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার হন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতোহের হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অভিজিৎ বড়ুয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা।
একই দিন ডিবির অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল গত ৮ আগস্ট রবিবার চট্টগ্রাম থেকে ২০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাসের নিচে ফেনী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তার গাড়ি গতিরোধ করে। গাড়ি তল্লাশির একপর্যায়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামসহ অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে স্বর্ণের বারগুলো ছিনিয়ে নেয়। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ভূইয়ার বাসা থেকে ১৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।










