Home খেলাধুলা ‘পালরিতি’র প্রেমে তৃতীয় ব্যক্তির ছায়া?

‘পালরিতি’র প্রেমে তৃতীয় ব্যক্তির ছায়া?

ফাঁস হওয়া চ্যাট ও ডিলিট করা ছবি ঘিরে তুঙ্গে ভাঙনের জল্পনা

বিনোদন ডেস্ক: ‘কাপল গোলস’-এর তালিকায় যাদের নাম ছিল ওপরের সারিতে, সেই স্মৃতি মন্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের রূপকথার প্রেমে কি ফাটল ধরল? নেটদুনিয়ায় এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। ক্রিকেটার স্মৃতি এবং গায়ক পলাশ—ভক্তদের প্রিয় ‘পালরিতি’ জুটির বিয়ে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম ছিল সোশ্যাল মিডিয়া। কিন্তু সাতপাকে বাঁধা পড়ার ঠিক আগমুহূর্তেই ছন্দপতন। শুধু বিয়ে স্থগিত নয়, নেটিজেনদের দাবি—এক তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে ভেস্তে যেতে বসেছে এই হাই-প্রোফাইল বিয়ে।

বিয়ে স্থগিতের নেপথ্যে কী?
সবকিছু ঠিক থাকলে গত রবিবারই চার হাত এক হওয়ার কথা ছিল স্মৃতি ও পলাশের। কিন্তু আচমকাই খবর আসে, স্মৃতির বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার পলাশের দিদি পলক মুচ্ছল জানান, বাবার অসুস্থতার কারণে বিয়ে আপাতত স্থগিত। তবে ঘটনার মোড় নেয় অন্যদিকে, যখন জানা যায় স্মৃতির বাবা অসুস্থ হওয়ার পরপরই সাংলির বিবাহবাসর ছেড়ে চলে গেছে গোটা মুচ্ছল পরিবার।

সন্দেহ আরও দানা বাঁধে যখন দেখা যায়, স্মৃতি মন্ধানা নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানের সব ছবি সরিয়ে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, জেমাইমা রডরিগেজ ও শ্রেয়াঙ্কা পাটিলের মতো সতীর্থ ক্রিকেটাররা, যারা বিয়েতে আনন্দ করছিলেন, তারাও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিয়ের সব ছবি ডিলিট করে দিয়েছেন।

ভাইরাল চ্যাট ও মেরি ডি’ কস্টা রহস্য
বিয়ে ভাঙার গুঞ্জনের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একগুচ্ছ স্ক্রিনশট। নেটিজেনদের দাবি, মেরি ডি’ কস্টা নামে এক কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে পলাশ মুচ্ছলের ঘনিষ্ঠ কথোপকথনই এই ভাঙনের মূল কারণ। ভাইরাল হওয়া চ্যাটে দেখা যাচ্ছে, পলাশ মেরিকে একসঙ্গে সাঁতার কাটতে যাওয়া এবং সমুদ্রসৈকতে ঘোরার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এমনকি, ক্রিকেটের কারণে স্মৃতিকে সময় দেওয়া বা ডেট করা যে কষ্টকর হয়ে উঠছে, এমন আক্ষেপও করতে দেখা গেছে গায়ককে।

কে এই মেরি ডি’ কস্টা? জানা গেছে, থানের বাসিন্দা মেরি পেশায় কোরিওগ্রাফার এবং স্মৃতির দীর্ঘদিনের পরিচিত। তবে জল্পনা শুরু হতেই মেরি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে সমস্ত ছবি মুছে ফেলেছেন, যা সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

‘ঘনিষ্ঠ’ অবস্থায় ধরা পড়ার গুঞ্জন
নেটপাড়ায় জোর গুঞ্জন, বিয়ের ঠিক আগের রাতে পলাশ ও মেরিকে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। এরপরই নাকি তাদের ‘মাখোমাখো’ চ্যাট ফাঁস হয়ে যায়। এই ঘটনার জেরেই তড়িঘড়ি বিয়ে স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

যদিও ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশট বা এই অভিযোগের সত্যতা আনুষ্ঠানিকভাবে যাচাই করা যায়নি। তবে ছবি ডিলিট করা, মুচ্ছল পরিবারের তড়িঘড়ি ফিরে যাওয়া এবং মেরির সোশ্যাল মিডিয়া ফাঁকা করে দেওয়া—সব মিলিয়ে ‘পালরিতি’র বিচ্ছেদ জল্পনা এখন তুঙ্গে। বিশ্বজয়ী এই ক্রিকেটার শেষপর্যন্ত পলাশের গলায় মালা দেবেন কি না, তা এখন সময়ের অপেক্ষা।