Home First Lead হজভিসা জটিলতা ও তথ্য বিভ্রাটে সংকটে এয়ারলাইনস

হজভিসা জটিলতা ও তথ্য বিভ্রাটে সংকটে এয়ারলাইনস

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ভিসা জটিলতা, সময়মতো অর্থ পরিশোধ না করা এবং এয়ারলাইনসগুলোর তথ্য হালনাগাদে ঘাটতির কারণে একাধিক হজ ফ্লাইটের টিকিট এখনো অবিক্রিত রয়ে গেছে। ৪ থেকে ১০ মে পর্যন্ত কিছু ফ্লাইটের ৬৪ শতাংশ পর্যন্ত আসন ফাঁকা রয়েছে বলে হজ পোর্টাল সূত্রে জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি অবিক্রিত টিকিট রয়েছে সৌদি এয়ারলাইনসের।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) তথ্য অনুযায়ী, শুরুর ফ্লাইটগুলোতে কিছুটা আসন ফাঁকা থাকলেও ভিসা পাওয়া যাত্রীদের জন্য টিকিট রি-ইস্যুতে কোনো অতিরিক্ত ফি নেওয়া হবে না। হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “সিস্টেম জটিলতা ও এয়ারলাইনসগুলোর তথ্য হালনাগাদ না করায় কিছু ভিসা আটকে যাচ্ছে। সৌদি আরবের নতুন নুসুক মাশায়ের প্ল্যাটফর্মেও কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে।”

২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩৭টি ফ্লাইট ঢাকা ছেড়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১৫টি ফ্লাইটে ৬,২০২ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ১২টি ফ্লাইটে ৪,৮৫৮ জন এবং ফ্লাইনাসের ১০টি ফ্লাইটে ৪,০৯৪ জন হজযাত্রী গেছেন।

এয়ারলাইনস সূত্রে জানা গেছে, হজযাত্রার পঞ্চম দিনে (শনিবার) ১০টি ফ্লাইটের মধ্যে সাতটিতে অবিক্রিত টিকিট ছিল ৩ শতাংশ পর্যন্ত। সবচেয়ে কম টিকিট বিক্রি হয়েছে সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটগুলোতে। ৪ থেকে ১০ মে পর্যন্ত কোনো কোনো ফ্লাইটের অর্ধেকের বেশি আসনই খালি।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, “ভিসার ক্লিয়ারেন্স সময়মতো না আসায় অনেক যাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না। অথচ সিটগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।”

হজে যেতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫,২০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১,৯০০ জন যাত্রী রয়েছেন। বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে হজের আগে ১১৮টি ও পরে ১০৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। সৌদি এয়ারলাইনস হজের আগে ৮০টি এবং পরে ৭৯টি ফ্লাইট চালাবে। ফ্লাইনাস এয়ারও আগে ৩৪টি ও পরে ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বুশরা ইসলাম জানান, “আমাদের যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট হওয়ায় বিমানের কোনো সিট ফাঁকা থাকছে না।”

হজ অফিসের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, “ভিসা জটিলতায় কেউ নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে না পারলে টিকিট রি-ইস্যুতে কোনো অতিরিক্ত চার্জ লাগবে না।”

আগামী ৩১ মে পর্যন্ত হজ ফ্লাইট চলবে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন এবং চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। হজ ক্যাম্প ও বিমানবন্দরে যাত্রী সেবায় ৩৮টি বিশেষ ডেস্ক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এই জটিলতা নিরসনে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি ধর্মমন্ত্রীকে ডিও লেটার পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।