বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, সম্পদ ও মামলার তথ্য সাধারণ ভোটারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
সম্প্রতি জারি করা এক বিশেষ পরিপত্রে কমিশন জানিয়েছে, প্রার্থীদের হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং ভোটারদের সচেতন করতে প্রার্থীর তথ্যের সারসংক্ষেপ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রার্থীদের সম্পর্কে ভোটারদের সচেতন করতে কমিশন ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রার্থীদের হলফনামার সারসংক্ষেপ সম্বলিত এ-ফোর (A4) সাইজের লিফলেট তৈরি করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজার ও জনাকীর্ণ স্থানে বিতরণ করতে হবে।
ডিজিটাল স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সকল প্রার্থীর হলফনামা, সম্পদের বিবরণী ও ট্যাক্স রিটার্নের তথ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পিডিএফ (PDF) আকারে জনসাধারনের জন্য প্রকাশ করা হবে। এছাড়া স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এক সেট হলফনামা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে, যা থেকে সংবাদমাধ্যম, এনজিও বা যেকোনো সাধারণ নাগরিক নিজ উদ্যোগে ফটোকপি সংগ্রহ করতে পারবেন। এমনকি ভোটারদের সুবিধার্থে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়েও এই তথ্য প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
এই প্রচার কার্যক্রমের পাশাপাশি হলফনামায় সঠিক তথ্য প্রদানের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফৌজদারি মামলার বর্তমান ও অতীত রেকর্ড, আয়ের উৎস এবং নিজের ও নির্ভরশীলদের সম্পদ ও দায়ের নির্ভুল তথ্য প্রদান করতে হবে। বিশেষ করে আয়কর রিটার্নের কপি ও টিআইএন (TIN) সংক্রান্ত তথ্য দাখিল না করলে মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
হলফনামায় কোনো ভুল বা তথ্য গোপন করা হলে তার দায় প্রার্থীর ওপর বর্তাবে এবং এর বিরুদ্ধে যে কেউ দালিলিক প্রমাণসহ ‘কাউন্টার এফিডেভিট’ বা পাল্টা হলফনামা দাখিল করার সুযোগ পাবেন।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশন ব্যাংক, পুলিশ ও রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। ঋণ খেলাপি, ফৌজদারি মামলার রেকর্ড বা কর সংক্রান্ত তথ্যের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করে রিটার্নিং অফিসাররা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
নির্বাচন কমিশন মনে করছে, প্রার্থীদের তথ্য এভাবে উন্মুক্ত ও ব্যাপকভাবে প্রচারের ফলে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রতিনিধি সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন এবং একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হবে।










