হেলথ ডেস্ক: হৃদরোগ এবং হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দিন দিন উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার কারণে হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে তরুণদের ওপরও। এখন আর এটি কেবল বার্ধক্যের রোগ নয়, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০ পেরোতেই হার্টের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ হার্টের অসুখে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সেই তালিকায় আজকাল কম বয়সিরাও রয়েছেন। হৃদরোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রথমেই বাদ দিতে হবে ফাস্ট ফুড এবং প্রসেসড খাবার। তার বদলে নির্ভর করতে হবে হৃদরোগ-বান্ধব খাদ্যের ওপর।
সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান হলো এলডিএল কোলেস্টেরল, যা রক্তনালীর দেয়ালে জমে ধমনিকে সরু করে দেয়। এর ফলেই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কয়েকটি খাবার খেলে হার্টকে অনেকটাই সুস্থ রাখা সম্ভব। নিচে তেমনই কিছু ‘সুপারফুড’-এর তালিকা দেওয়া হলো:
🔹 সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, কেল, মেথি বা সর্ষে—এসব শাকে থাকে নাইট্রেট ও ফাইবার, যা কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
🔹 ব্লুবেরি ও বেদানা: এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ধমনীর প্লাক কমায় ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
🔹 আখরোট: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর চর্বি হৃদপিণ্ডের প্রদাহ কমাতে কার্যকর।
🔹 গ্রিন টি ও ব্ল্যাক কফি: পরিমিত গ্রহণে এগুলো ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও রক্তচাপ হ্রাস করে।
🔹 তিলের বীজ: প্রতিদিন এক চা চামচ গুঁড়ো তিল হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কার্যকর প্রভাব ফেলে।
তবে শুধু খাবার নয়, জীবনযাত্রার দিকেও নজর দিতে হবে।
✔ প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম
✔ ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম
✔ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
✔ ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা—এই অভ্যাসগুলিও হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র সাধারণ ধারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
📢 আপনার হৃদপিণ্ডের যত্ন নিতে এখনই পরিবর্তন আনুন খাদ্যাভ্যাসে। স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রা নিয়ে আরও তথ্য পেতে ভিজিট করুন businesstoday24.com