Home আকাশ পথ ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত: ছাইয়ে ছেয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত: ছাইয়ে ছেয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

সংগৃহীত ছবি

ছাই ও গ্যাস কয়েক কিলোমিটার উঁচুতে উঠে চারপাশের গ্রামগুলো ছেয়ে গেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের পর অস্ট্রেলীয় ভ্রমণকারীদের ফ্লাইট বিলম্বের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর পূর্ব জাভায় অবস্থিত দ্বীপটির সর্বোচ্চ পর্বত হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু করে।

আগ্নেয়গিরি থেকে ছিটকে আসা ছাই ও গ্যাস কয়েক কিলোমিটার উঁচুতে উঠে চারপাশের গ্রামগুলো ঢেকে দেয়। এতে ব্যাপকভাবে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো স্যাটেলাইট চিত্রে ছাই শনাক্ত করে ‘রেড এভিয়েশন অ্যালার্ট’ জারি করেছে। যদিও ডেনপাসার ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোনো ফ্লাইট এখনো বাতিল হয়নি, তবে যাত্রীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শত শত মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রাম থেকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০০ জন পর্বতারোহী ও পর্যটন কর্মকর্তা পর্বতে আটকে আছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৩৭ জন পর্বতারোহী, ১৫ জন বহনকারী, ৭ জন গাইড এবং ৬ জন পর্যটন কর্মকর্তা। তারা বর্তমানে রানু কুম্বোলো মনিটরিং পোস্টে নিরাপদে রয়েছেন।

জাভা দ্বীপ প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত, যেখানে টেকটোনিক প্লেটের নড়াচড়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে, যা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি।

সেমেরু আগ্নেয়গিরি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়, কারণ এটি গ্রাম, পরিবহন পথ ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে। ২০২১ সালের বড় অগ্ন্যুৎপাতে ৫০ জনের বেশি নিহত হন, ৫,০০০টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ১০,০০০ মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়।