বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, টেকনাফ ( কক্সবাজার ) টেকনাফে পাহাড়ঘেরা জনপদের সড়কে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে অপহরণকারী চক্র। মঙ্গলবার সকালবেলা হোয়াইক্যং-শামলাপুর সংযোগ সড়কে একটি সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে চালকসহ পাঁচজনকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন স্থানীয় সিএনজি চালক ও চারজন রোহিঙ্গা যাত্রী।
নিখোঁজ চালকের নাম মো. শামসু আলম (৩৫)। তিনি টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দৈংগ্যাকাটা এলাকার বাসিন্দা, মৃত নুর আহমেদের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু নোমান জানান, মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং বাজার থেকে বাহারছড়ার পথে যাচ্ছিলেন শামসু আলম। পথিমধ্যে শামলাপুর সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ি রাস্তায় একদল অস্ত্রধারী সিএনজিটি থামিয়ে পাঁচজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অপহৃত রোহিঙ্গারা মাছ কেনার উদ্দেশ্যে বাহারছড়া যাচ্ছিলেন। তবে তাদের কারও পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, অপহরণকারীরা পার্বত্য অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।
ঘটনার পর বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহা জানান, অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পড়ে থাকা সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এক চালক ও চার রোহিঙ্গা অপহৃত হয়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছি।”
এই সড়কটি অপহরণপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠছে। মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই, গত ২২ মে একই এলাকায় এক ডাম্পট্রাক চালক ও এক মোটরসাইকেল আরোহীসহ পাঁচজনকে অপহরণ করে একটি দল। যদিও পরে তারা কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়ের ভেতর নিরাপত্তার অভাব ও নজরদারির দুর্বলতায় অপহরণকারীরা সুযোগ নিচ্ছে। অনেকের অভিযোগ, এসব চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়, অথচ তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
পাহাড়ি জনপদের এই অনিরাপদ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বিশেষত রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোর আশপাশে এই ধরনের অপতৎপরতা স্থানীয়দের চলাচল ও জীবিকা নির্বাহে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
